কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০০৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে লালুপ্রসাদ যাদব হেরে গিয়েছিলেন প্রায় ২৪ হাজার ভোটে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মিসা ভারতী রামকৃপালের কাছে হারেন ৪০ হাজার ৩২২ ভোটে। রামকৃপাল পেয়েছিলেন ৩, ৮৩, ২৬২ ভোট। গতবারের ভোটে এই আসনে সিপিআই (এমএল) প্রার্থী রামেশ্বর প্রসাদ পেয়েছিলেন প্রায় ৫১ হাজার ভোট। এবার পরিস্থিতি বদলে সিপিআই (এমএল) আরজেডির সঙ্গে মহাজোটে শামিল। এবারের লোকসভা ভোটে লালু পরিবারের একমাত্র সদস্য হিসেবে মিসাই ভোটে লড়ছেন। অন্যদিকে বিজেপি জোট করেছে জেডিইউয়ের সঙ্গে। গতবার জেডিইউ প্রার্থী এই আসনে প্রায় ৯৭ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে জোটের অঙ্কে এবার পাটলিপুত্রের জমি ছাড়তে নারাজ সব পক্ষই।
প্রচারে বেরিয়ে রামকৃপাল বলছেন, এ জমিতে আমার থেকে বেশি ঘাম-রক্ত কেউ ঝরায়নি। সেই পরিশ্রমের ফসল তো আমি পাবই! রামকৃপালের সেই পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলে আবার বিজেপি প্রমাণ করতে মরিয়া যে, জেলবন্দি লালুপ্রসাদ আর যাদবদের একমেবাদ্বিতীয়ম নেতা নন। সেই লক্ষ্যে চলছে এনডিএর জোর প্রচারও। যাদব ভোট পাওয়া নিয়ে মিসাকে কটাক্ষ করে রামকৃপালের অবশ্য বক্তব্য, গত পাঁচ বছরে তাঁকে মানুষ কতবার দেখেছেন? কী কাজ করেছেন? এলাকার উন্নয়নের ইস্যু কতবার রাজ্যসভায় তুলেছেন? আমাদের নীতি ছিল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। সেই লক্ষ্যেই সবার জন্য এলাকায় উন্নয়নের কাজ করেছি। মানুষ উন্নয়নের কথাই এখন বলছে। আমি সব সম্প্রদায়ের ভোটই পাব। যদিও আরজেডির প্রদেশ মহাসচিব কুমার রাহুল সিংয়ের বক্তব্য, যাদবদের ভোট এবার এককাট্টা। এই ভোট ভাগ হবে না। যাদবদের ভোট যাবে মিসার ঝুলিতে। এই কেন্দ্রে তাঁর জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দলের আর এক প্রদেশ মহাসচিব সঞ্জয় যাদবের কথায়, এবারে জেডিইউয়ের অবস্থা বেশ খারাপ। পাল্টি খাওয়ার রাজনীতিকে মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেন না। যদিও আরজেডির দাবি মানতে নারাজ নীতীশ কুমারের দল। তাদের যুক্তি, নীতীশ কুমারের সরকার সবার জন্য কাজ করেছে। মানুষের পাশে থেকেছে। পাটলিপুত্রেও এবার তার ফল পাবেন এনডিএ প্রার্থী।
দানাপুরে এক চায়ের দোকানে কথা হচ্ছিল স্থানীয়দের সঙ্গে। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, গতবার ছিল সহানুভূতির ভোট। দীর্ঘদিন দলে কাজ করেও বঞ্চনা সহ্য করতে হয়েছিল রামকৃপালকে। তাতে অনেকেরই ভিতরে ভিতরে ক্ষোভ ছিল। তার ফলও মিলেছিল ভোটে। এবার আর তা হবে না। যাদবদের ভোট বেশিটাই যাবে মহাজোটের দিকে। যদিও এর বিপরীত বক্তব্যও পাওয়া গিয়েছে। যেমন সরকারি কলেজের কর্মী নীপেশ যাদব বললেন, এই কেন্দ্রে যাদব ভোট কেউ একা পাবে না। ভোট ভাগ হবে। কোন দিকে বেশি যাবে, তা বলা কঠিন। তবে রামকৃপাল যেভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে থেকে কাজ করেন, তার সুফল তিনি পাবেন। ফলাফল কী হবে, তা বোঝার জন্য ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। তবে যেই জিতুক, মার্জিন কিন্তু বেশি হবে না।