পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার নির্বাচনী জনসভার প্রায় পুরো অংশজুড়েই কাশ্মীর-ইস্যুই ছিল শাহর মুখে। সেই ইস্যুতে সুকৌশলে পুলওয়ামার ঘটনা টেনে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন তিনি। শাহ বলেছেন, ‘কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ, ওমর আবদুল্লা দাবি তুলছেন কাশ্মীরের জন্য পৃথক প্রধানমন্ত্রী পদ তৈরি হোক। অবান্তর দাবি তাঁর। একই রাষ্ট্রের মধ্যে দু’জন প্রধানমন্ত্রী হয় কী করে?’ প্রশ্ন তুলে শাহ বলেছেন, ‘আসলে কিছু লোক চাইছেন ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাক কাশ্মীর। তাই ওমর আবদুল্লা ও রাহুলকে এটা পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই, সরকারে আসি বা না আসি বিজেপি নেতারা যতদিন বেঁচে থাকবেন কাশ্মীর কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ এর পরেই বিজেপি সভাপতির সংযোজন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদে মোদি পুনর্বহাল হলে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। কেউ ঠেকাতে পারবেন না।’ এই প্রসঙ্গে দেশদ্রোহ আইন নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন শাহ। তিনি বলেছেন, ‘কংগ্রেস চাইছে দেশদ্রোহ আইনের অবলুপ্তি। বিজেপি কংগ্রেসের এই পরিকল্পনাকে কখনও বরদাস্ত করবে না।’
কেন বরদাস্ত করবে না, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদির অন্যতম সেনাপতি। তিনি বলেছেন, ‘জাকির নায়েকের মতো কিছু লোক সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে, দেশ বিরোধী কথা বলে পালিয়ে যাবে, তাকে বিজেপি প্রশ্রয় দেবে না।’ মোদির ভয়ে নায়েক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলেও এদিন দাবি করেছেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘মোদির মতো কড়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলেই নায়েক ভয়ে দেশত্যাগ করেছেন। তবে তিনি পালিয়ে পার পাবেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁকে গারদে ঢোকাবেই। কিন্তু কংগ্রেস কিংবা মহাজোট ক্ষমতায় এলে নায়েকের মতো লোকেরা গারদের বাইরে থেকে যাবেন।’
উত্তরপ্রদেশে মহারাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে ভোট মেরুকরণকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন অমিত শাহ। সেখানে টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্যকে। ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদিকে ‘নীচ আদমি’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আইয়ার। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে শাহ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আইয়ারের কুরুচিকর মন্তব্যের পরেও নীরব ছিলেন রাহুল। এ ব্যাপারে তিনি তখন একটি শব্দও খরচ করেননি। প্রধানমন্ত্রীকে এমন অপমানজনক মন্তব্য করলে আপনারা কি চুপ করে থাকতেন?’ উপস্থিত শ্রোতাদের কাছে প্রশ্ন রাখেন শাহ।