গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোনিয়ার আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে এম কে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। জেডিএস নেতা দেবেগৌড়াও জানিয়ে দিয়েছেন, সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের লক্ষ্যে ২৩ মে তিনি দিল্লি পৌঁছচ্ছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু শরিক দলগুলিই নয়, মোদিকে রুখতে ‘সম মনোভাবাপন্ন’ অন্য নেতানেত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন। তালিকায় রয়েছে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি ও কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের টিআরএস। ২৩ মে সোনিয়ার বৈঠকে যোগ দিতে পারেন টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও। বিরোধী জোটে মায়াবতী ও অখিলেশ যাদবের সমর্থনও নিশ্চিত করতে চাইছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। কংগ্রেস সূত্রের খবর অনুযায়ী, মায়া-অখিলেশের মতোই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন সোনিয়া।
কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গোটা প্রচারপর্বে দল পরিচালনার রাশ ছিল রাহুল গান্ধীর হাতে। বাড়তি মাইলেজ হিসেবে ভোটের ঠিক আগে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। কিন্তু শেষ দফার ভোট মেটার আগেই মোদি-বিরোধী জোট বাস্তবের রূপ দিতে সোনিয়া যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠলেন, রাজনৈতিকভাবে তা খুবই তাৎপর্যের। বিরোধী জোটকে একত্রিত করার যে উদ্যোগ সোনিয়া নিয়েছেন, সেখানে অখিলেশ ও মায়াবতী বড় ভূমিকা নেবেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশের এই দুই নেতানেত্রী জোট গড়ে ভোটে লড়েছেন। প্রচারে মোদির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করলেও রাহুল গান্ধী কৌশলগতভাবে এই মহাজোটের বিরুদ্ধে প্রায় নীরবই থেকেছেন। সোনিয়ার উদ্যোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াও আসতে শুরু করেছে অখিলেশের দল থেকে। সমাজবাদী পার্টির জাতীয় মুখপাত্র আই পি সিংয়ের দাবি, উত্তরপ্রদেশে অন্তত ৬০টি আসন পেতে চলেছে মহাজোট। সোনিয়াকে খুবই শ্রদ্ধা করেন অখিলেশজি। ২৩ মের পর দিল্লিতে সরকার গঠনে আমাদের দল নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা থেকে সমাজবাদী পার্টির আশা, এককভাবে অন্তত ২৬টি আসন তাদের হাতে আসবে। পাশাপাশি কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নবীন পট্টনায়েক ও কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রবীণ নেতা আহমেদ প্যাটেলকে। পাশে পাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে জগন্মোহন রেড্ডির দলকেও। দিল্লির বৈঠক থেকে সোনিয়া বার্তা দিতে চাইছেন, মোদিকে রোখার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ পাশে সরিয়ে রেখে একত্রিত হতে হবে বিরোধীদের। ঘটনাচক্রে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদ পাওয়ার কোনও বাসনা দলের নেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, বৃহত্তর লক্ষ্যে কংগ্রেসও যে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ সরিয়ে রাখবে, সেই বার্তা দিতেই আজাদের ওই মন্তব্য। বিজেপি বিরোধী সব দলকে একত্রিত করার লক্ষ্যেই এই ‘সাদা পতাকা’ তুলে ধরার কৌশল কংগ্রেসের।
সূত্রের খবর, গোয়ার পুনরাবৃত্তি আর চাইছে না কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র সময় নষ্ট করার জন্য সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি সেখানে। অন্যান্য দলগুলির সমর্থন আদায় করে সেখানে সরকার গড়েছিল বিজেপি। গোয়া থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আর সময় নষ্ট করতে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এআইসিসি ম্যানেজাররা মনে করছেন, এবার আর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনো হচ্ছে না মোদি শিবিরের। ফল প্রকাশের দিনই তাই বৈঠক সেরে ফেলতে চাইছেন তাঁরা। আর এই প্রেক্ষিতে সবচেয়ে আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠল সোনিয়ার সক্রিয় হয়ে ওঠা।