কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ওদিকে, আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সিবিআই মামলার রায়দান হবে। গ্রীষ্মাবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ওই রায় পড়বেন। রবিবার রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন। তাই তার আগে আগামীকালের ওই রায় নিয়ে কৌতুহল তুঙ্গে। রাজীবকুমারের কপালে কী রয়েছে? সিবিআইয়ের দাবি মেনে তাঁকে কি গ্রেপ্তার করারই রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট? নাকি সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য লোপাটের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারার পাশাপাশি রাজীবকুমার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার তথ্য স্বীকৃতি পাবে? জল্পনা তুঙ্গে।
সারদা সহ চিটফান্ড মামলায় রাজীবকুমারের নেতৃত্বেই প্রাথমিক তদন্ত হয়েছিল। অথচ আদালতের নির্দেশে তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর রাজীবকুমার যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেননি বলেই অভিযোগ। একইসঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না দাবি রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয়কুমার দে, রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র এবং রাজীবকুমারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে সিবিআই।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই ভোট ঘোষণা হয়। মামলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না থাকলেও রাজীবকুমারকে কলকাতার পুলিস কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় কমিশন। এডিজি সিআইডি পদে বসানো হয় তাঁকে। ভোট প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে দূরে রাখা হয়। তা সত্ত্বেও গতকাল রাজীবকুমারকে পদ থেকে ফের সরিয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল দশটার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এসে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও ঠিক দশটাতেই তিনি মন্ত্রকে পৌঁছতে পারেননি। সাড়ে ১১ টায় ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে নর্থ ব্লকে যান। কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে, ১২ দিনের শুনানি শেষে আগামীকাল রাজীবকুমার মামলায় রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজীবকুমারকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমদিনের শুনানিতেই নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তারপর থেকে গত ২ মে পর্যন্ত শুনানি চলে রায় রিজার্ভ রেখেছিল সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক নির্দেশের পরেও বেশ কিছু বিষয় তিনি গোপন করে যাচ্ছেন এই অভিযোগে রাজীবকুমারকে হেপাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় সিবিআই। রাজীবকুমারও পাল্টা সওয়ালে হলফনামা পেশ করে দাবি করেন, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। দু’পক্ষের শুনানি শেষে রায় রিজার্ভ ছিল। আগামীকাল সেই রায় প্রকাশ হবে।