রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
‘মোদিলাই’! ওয়েবসাইটের একটি পেজে এই নতুন শব্দটি উল্লেখ করে রাহুল বলেছেন, ‘যাঁরা অনবরত মিথ্যা কথা বলে তাঁদের জন্য ‘মোদিলাই’ একেবার উপযুক্ত শব্দ। শব্দটি খুব শীঘ্রই গোটা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।’ এর পরেই রাহুলের সংযোজন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিটি ইস্যুতেই মিথ্যা কথা বলে চলেছেন। এমন কী দেশের প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িত রাফাল চুক্তি নিয়েও তিনি মিথ্যা বলেছেন।’ এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল। বিহারে বিক্রম জেলায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অত্যন্ত সচেতনভাবে দুর্নীতির প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার বদলে প্রচারে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর মুখে উন্নয়নের কোনও কথা নেই। দেশকে দিশা দেখানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই আগামী ২৩ মে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় সম্ভাষণ জানাতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী।’
অন্যদিকে, এদিন উত্তরপ্রদেশের খুশিনগরে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন রাহুল। সেখানেও তাঁর নিশনায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল বলেন, দেশের অর্থনীতির ইঞ্জিনটাই মোদির জমানাতে বিকল হয়ে গিয়েছে। ইঞ্জিন থেকে জ্বালানি বের করে নিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সেই ইঞ্জিনে জ্বালানি ভরে দেবে।’ আর সেই জ্বালানি হবে যে ‘ন্যায়’ প্রকল্প’ তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
রাহুল বলেছেন, ‘নোট বন্দি এবং জিএসটি দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে সর্বনাশা পদক্ষেপ। মোদি সরকারের এই দু’টি সিদ্ধান্তে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা তলানিতে ঠেকেছে। চাকরি খুইয়েছেন প্রচুর মানুষ। সেই ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে মূলস্রোতে ফেরাতে পারে প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’ প্রকল্প।’ ভোট বাজারে বিজেপিকে ঘায়েল করতে ইস্তাহারে ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’ প্রকল্প ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মাসে ছ’হাজার টাকা করে পাবে গরিব পরিবার। অর্থাৎ, বছরে ৭২ হাজার টাকা গরিব পরিবারের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। রাহুলের দাবি, অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই ‘ন্যায়’ প্রকল্প চালুর প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে দেশের ২০ শতাংশ গরিব পরিবার উপকৃত হবে। তাঁদের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবেন মহিলারা।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানায় সুবিধা পেয়েছেন হাতেগোনা কয়েকজন শিল্পপতি। এদিন ফের এই অভিযোগ তুলেছেন রাহুল বলেছেন, ‘কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কংগ্রেস। লোকসভায় সাধারণ বাজেট পেশের আগেই পেশ করা হবে কৃষকদের জন্য পৃথক বাজেট।’