বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রথম থেকেই কেন্দ্রে অবিজেপি ও অকংগ্রেসি সরকার গঠনের সমর্থক হলেন চন্দ্রশেখর। অন্যদিকে তাঁর ভিন্নমত পোষণ করেন স্ট্যালিন। লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে লড়েছে ডিএমকে। লোকসভার ভোটের শেষ পর্যায়ে এসে দুই নেতার বৈঠক ঘিরে রাজনীতিতে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। এমাসের শুরুতে কেরল ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন টিআরএস প্রধান। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে আঞ্চলিক দলগুলি কী ভূমিকা নিতে পারে, এদিন তা নিয়েও স্ট্যালিনের সঙ্গে আলোচনা করেন কেসিআর। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে না বলে ধরে নিচ্ছে বিরোধীরা। এনডিএর আসনও অনেকটা কমতে পারে। অন্যদিকে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা ভালো ফল করলেও সরকার গঠনের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে আঞ্চলিক দলগুলি। তাই ভোটের ফলাফল বাকি থাকতেই আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতির কর্মপন্থা স্থির করতে কংগ্রেসের জোট শরিক ডিএমকে সুপ্রিমোর সঙ্গে বৈঠক করেন চন্দ্রশেখর।
এদিকে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল মিলিতভাবে কেন্দ্রে সরকার গঠন করলে তার স্থায়িত্ব থাকে না বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করলেন কেসিআরের ছেলে কে টি রামা রাও। টিআরএসের কার্যকরী সভাপতি বলেন, ভারতের জোট রাজনীতির ভিত অত্যন্ত মজবুত। আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে যারা এনডিএ কিংবা ইউপিএতে নেই, কেন্দ্রে সরকার গড়তে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তাঁর কথায়, সাত দফার ভোট যতই এগিয়েছে তাতে স্পষ্ট হয়েছে যে, বিজেপি কিংবা কংগ্রেস এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। ফলে আঞ্চলিক দলগুলি পরবর্তী সরকার গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। কেসিআরের মন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন্দ্রে সরকার গড়তে টিআরএস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এজন্য অকংগ্রেসি ও অবিজেপি দলগুলির সঙ্গেও তাঁদের আলোচনা চলছে। তবে ২৩ মে ভোটের ফলাফলের পর যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রামা রাও বলেন, গত বছর অকংগ্রেসি ও অবিজেপির বিকল্প হিসেবে ফেডারেল ফ্রন্ট গড়তে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল টিআরএস। এবারের লোকসভা ভোটে তেলেঙ্গানায় টিআরএস যে কৌশল নিয়েছিল তা সফল বলে তিনি দাবি করেন। উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল তেলেঙ্গানার ১৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।