বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টানা ১৫ বছর এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ থাকলেও বনসল কোনও কাজ করেননি বলে অভিযোগ কিরণের। সাংসদ হিসেবে তাঁর পাঁচ বছর বনাম কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদের ১৫ বছরের তুলনাও টেনেছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থীর কথায়, ‘উনি ১৫ বছর সাংসদ থেকেও কোনও কিছু করেননি। পাঁচ বছরে আমি ৮ থেকে ৮০ সকলের জন্য কাজ করেছি। সাংসদ হিসেবেও আমি সব সময় সরব ছিলাম। বিগত পাঁচ বছর আমি কোনও ছবিতে কাজ পর্যন্ত করিনি।’
কিরণ এবার জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তাই প্রচারের পাশাপাশি আগামীদিন এই কেন্দ্র এলাকায় তিনি কী কী কাজ করবেন, তার ফর্দও ঠিক করে ফেলেছেন। সমস্ত সরকারি স্কুলগুলিকে ইংরাজি মাধ্যমে পরিবর্তিত করা, সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্প, সিলিকন ভ্যালির মতো স্টার্ট-আপ হাব তৈরি সহ একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে এই তালিকায়। চণ্ডীগড় শহরের অন্যতম বড় সমস্যা হল যানজট। ফের সাংসদ হয়ে এলে, এই সমস্যারও সমাধানও ভেবে রেখেছেন বলে দাবি বর্তমান সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থীর। এক্ষেত্রে দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মনোরেল, মিনিবাস রাস্তায় নামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিরণ খের।
এদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী যানজট সমস্যা সমাধানে মেট্রোরেল চালুর আশ্বাস দিয়েছেন। পবনের এই পরিকল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছেন কিরণ। তাঁর কথায়, ‘এই শহরে মেট্রো আনতে কে তাঁকে বাধা দিয়েছে? তিনি নিজেও জানেন, চণ্ডীগড়ের মতো শহরে মেট্রো চালু করা সম্ভব নয়। ইঞ্জিনিয়াররাও তাই এই নিয়ে কোনও সুপারিশ করেননি। পাশাপাশি, মেট্রো চালু করতে প্রচুর টাকা দরকার এবং শহরের অনেক বাজার ভাঙা পড়বে।’ প্রসঙ্গত, চণ্ডীগড় লোকসভা আসনে কিরণ খেরের মূল লড়াই কংগ্রেসের বনসল এবং আপের হরমোহন ধাওয়ানের সঙ্গে। আগামী ১৯ মে এই কেন্দ্রে ভোট হতে চলেছে।
ভোট -১৯ মে
কেন্দ্র - চণ্ডীগড়
২০১৪-র জয়ী প্রার্থী - কিরণ খের (বিজেপি)