বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বালাকোট হামলার ইস্যুকে বারবার প্রচারে আনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় এককাট্টা বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার দ্বারভাঙ্গার জনসভা থেকে একেবারে মোদিসুলভ কায়দার তার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমূলে উপড়ে ফেলা প্রয়োজন। মোদির দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কারণ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে বিশাল অর্থ খরচ হয়, তা খরচ করা যেত গরিব মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সন্ত্রাসবাদের ভারী মূল্য চোকাতে হয়েছে দেশের গরিব মানুষকে। আগে ভিভিআইপিদের জন্য এত নিরাপত্তা, মন্দির-মসজিদ-গুরুদ্বারের বাইরে এত পুলিস, রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনাসে এত তল্লাশির প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু শেষ ৪০ বছরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে প্রচুর ব্যয় করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। যে অর্থ গরিব মানুষের জন্য স্কুল ও হাসপাতাল তৈরির মতো কাজে ব্যবহার করা যেত। শ্রীলঙ্কায় জঙ্গি হামলায় অন্তত ৩৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশে (পাকিস্তান) জঙ্গি তৈরির কারখানা চলছে। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ভোটের ইস্যু নয়। ওরা বলছে, মোদি কেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এত কথা বলে চলেছে? এটা কোনও ইস্যু নয়। ভোটারটা জানেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। কিন্তু পারিবারতন্ত্র চালানো এই স্বার্থপররা সহজ বিষয়টি বুঝতে পারছে না।
দ্বারভাঙার সভা থেকেও এদিন আঞ্চলিক দলগুলির নেতানেত্রীদের তীব্র কটাক্ষ করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ২০ টি বা ৪০ আসনে লড়াই করেও অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখছেন। পাশাপাশি কৃষিঋণ মকুবের ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস দাবি করছে, ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলিতে তারা কৃষিঋণ মুকুব করেছে। কেন্দ্রে ক্ষমতায়ও আসলেও তা করা হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর কথায়, কংগ্রেসের এই কৃষিঋণ মকুবের কর্মসূচির ফলে কোনও গরিব আদিবাসী বা দলিত মানুষ উপকৃত হননি। উপকৃত হয়েছে শুধুমাত্র কংগ্রেসের ‘চেলা-চাপাটি’রা। আক্রমণের সুর চড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইছিলেন, তিন দফার ভোট শেষে মানুষের মেজাজ বুঝতে পেরে তাঁরা চেপে গিয়েছেন। এখন তাঁদের নিশানা মোদি ও ইভিএমের দিকে।
দ্বারভাঙার পর উত্তরপ্রদেশের বান্দার জনসভা থেকেও বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কটাক্ষ, আর্ধেক আসনের ভোট মিটে যাওয়ায় ফলাফল বুঝতে পেরে বিরোধীদের মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। ভোটগ্রহণের প্রথম পর্বে বিরোধীরা মোদিকে নিশানা করে গিয়েছে। কিন্তু তাতে ফল হয়নি। এবার ভোটগ্রহণের দ্বিতীয়ার্ধে তারা গালমন্দ করছে ইভিএমকে। বিরোধীরা ‘জিরো বাটে সান্নাটা’ ছাড়া আর কিছুই পাবে না। হিন্দি কমিক সিনেমা ‘নিল বাটে সান্নাটা’কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এই খোঁচা। যার অর্থ শূন্যকে শূন্য দিয়ে ভাগ করলে কিছুই মেলে না।