পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের পিছনে ষড়যন্ত্রের দাবির সত্য মিথ্যা জানতে তদন্ত হবে বলেও নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়েক ওই তদন্ত করবেন। সিবিআই, আইবি এবং দিল্লি পুলিস তদন্তে সাহায্য করবে। সরকারের হয়ে সলিসেটর জেনারেল বিশেষ তদন্ত টিম বা এসআইটি গড়ে তদন্তের দাবি করলেও তা গ্রাহ্য করেনি বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি রোহিংটন ফলি নরিম্যান এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তার বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে তাঁর পদ থেকে সরানোর চেষ্টাতেই ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী উৎসব বেইন্স। সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কোর্ট অ্যাসিট্যান্ট প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। কবে কোথায় কীভাবে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন তা নিয়ে একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই অভিযোগকারীনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে বিতর্ক বাড়তে দেওয়ার আগেই সুযো মোটো মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টির সত্যতা নিয়ে বিচার করতে একটি কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরই মধ্যে উৎসব বেইন্স নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে দাবি করেন, ওই মহিলার অভিযোগের পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁকেই ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে এ ব্যাপারে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এবং বিষয়টি সর্বসমক্ষে এনে বিচারবিভাগকে এভাবে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রর পিছনে ফিক্সারদের ভূমিকা জানিয়ে দিতে চান বলে আদালতে সওয়াল করেন উৎসব বেইন্স। কিন্তু তাঁর ওই দাবির সত্যতা কী? তা জানতেই তিনদিন ধরে শুনানি চলে। সিবিআই, আইবি এবং দিল্লি পুলিসের অফিসারদের তলব করা হয়। এবং শুনানি শেষে আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ কে পট্টনায়েক এ ব্যাপারে তদন্ত করবেন। উল্লেখ্য, এর আগে সিবিআই বনাম সিবিআই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রধান অলোক ভার্মাকে সরকার মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত করেছিলেন বিচারপতি পট্টনায়েক।