পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গে ‘দিদি’ বলতে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমেথি ঘুরে মনে হল, এখানে নিজেকে ‘দিদি’ বলে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন ‘শাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালের তুলসী। মোদি সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঘিরে কম বিতর্ক কম হয়নি। এমনকী এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও মাথাচাড়া দিয়েছে সেই পুরনো বিতর্ক। কিন্তু সেসবের পরোয়া না করে গান্ধী পরিবারের ‘গড়’ আমেথিতে পদ্ম ফোটাতে বদ্ধপরিকর ‘দিদি’ স্মৃতি। চষে বেড়াচ্ছেন গ্রামের পর গ্রাম। চাঁদোয়া বিছিয়ে একেবারে ঘরোয়া সভা করছেন। ভারী বক্তৃতা নয়, একেবারে গ্রাম্য হিন্দিতে সহজ-সরল মানুষগুলোর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। শুনছেন মানুষের অভাব অভিযোগ। জনসভায় দাবি করলেন, ‘এখানকার নিখোঁজ সাংসদ (রাহুল গান্ধী) শুধু ভোটের সময় আসেন। বাকি সময় দেখা মেলে না। এবার স্মৃতি ইরানির সঙ্গে রাহুল গান্ধীর লড়াই হচ্ছে না। লড়াই হচ্ছে জনতার সঙ্গে এক নিখোঁজ সাংসদের।’
জিতে তিনি যে আমেথিকে ভুলে যাবেন না, সেকথাও পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থী। গত ৪ এপ্রিল থেকে আমেথির জেলাসদর গৌরীগঞ্জ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জামো রোডের উপরে ডান দিকে তিন তলা বাড়িতে আস্তানা গেড়েছেন। সকাল ন’টাতেই সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়। বাড়ির সামনের বড় গাছে রামনবমীর পতাকা লাগানো। সাড়ে ন’টায় বেসমেন্টে গিয়ে দেখা করলেন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। প্রচার পরিকল্পনা সেরে রওনা হলেন তিলোহি বিধানসভা এলাকায় প্রচার করতে। সঙ্গী হলাম। সাবলীল বাংলায় উত্তর দিলেন বিভিন্ন প্রশ্নের। বললেন, ‘রাহুল গান্ধী কিছু করেননি। ভোট চাইবেন কোন মুখে! আমরা সৈনিক স্কুল করেছি, কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র করেছি, গরিবের বাড়িতে শৌচালয় হয়েছে, মাথার উপর ছাদ হয়েছে, বিনে পয়সা স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে মোদি সরকার। মোদিজিকেই তো মানুষ সাপোর্ট করবে। মানুষ এবার তাদের এই দিদিকে আশীর্বাদ করবে।’ পাশ থেকে স্লোগান, ‘জিতেগা ভাই জিতেগা, আমেথি মে দিদি জিতেগা।’