পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিষয়টি নতুন নাহলেও গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সামনে এসেছে রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র স্রেফ নেহরু গান্ধীর একচেটিয়া নয়, অন্যরাও পিছিয়ে নেই। এমনকী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিও। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাও বীরেন্দর সিংয়ের পুত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং লড়ছেন গুরুগ্রাম থেকে। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দর সিংয়ের পুত্র বিজেন্দরকে বিজেপি প্রার্থী করেছে হিসার থেকে। আইএসএর চাকরি ছেড়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন বিজেন্দর। তাঁর মা প্রেমলতা আবার হরিয়ানা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক।
হরিয়ানার রাজনীতিতে তিন লাল, বংশীলাল, দেবীলাল এবং ভজনলালের পরিবারের প্রতিনিধিত্বও সমানে চলছে। আইএনএলডি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের সুপ্রিমো তথা হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌতালার ছোট নাতি অর্জুনও এবার রাজনীতিতে এলেন। চাষবাস নিয়ে এতদিন ব্যস্ত থাকলেও এবার তাঁকে কুরুক্ষেত্র কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করল আইএনএলডি। শিক্ষক নিয়োগের এক মামলায় চৌধুরি দেবীলালের পুত্র ওমপ্রকাশ চৌতালা জেলে থাকলেও তাঁর দুই পুত্র অজয় এবং অভয় উভয়েই রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র বজায় রেখেছেন।
এবার তাঁদের পুত্ররাও নামলেন। অভয় চৌতালার ছেলে অর্জুন কুরুক্ষেত্র থেকে প্রার্থী হয়ে আজকের মহাভারত লোকসভার ভোটযুদ্ধ জিততে চাইছেন। অন্যদিকে অর্জুনের জেঠু অজয় চৌতালার দুই পুত্র দুষ্যন্ত এবং দিগ্বিজয় সিং চৌতালা লড়ছেন যাথক্রমে হিসার এবং সোনপত থেকে। যদিও তাঁরা এবার সরাসরি আইএনএলডির টিকিটে না লড়ে আম আদমি পার্টি সমর্থনে তৈরি নতুন দল জননায়ক জনতা পার্টি বা জেজেপি নামে দল গড়ে লড়ছেন।
তবে পরিবারতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বে আজও এগিয়ে কংগ্রেসই। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং যাদব কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সোনপত থেকে। তাঁর পুত্র তিনবারের এমপি দীপেন্দর ফের লড়ছেন রোহতকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলবীর সিংয়ের কন্যা কুমারী সেলজা কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন আম্বালা থেকে। সেলজাও আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের নাতনি শ্রুতি চৌধুরিকে প্রার্থী করা হয়েছে ভিওয়ানি মহেন্দ্রগড় থেকে। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভজনলালের নাতি ভাব্য বিষ্ণোই লড়ছেন হিসার কেন্দ্র থেকে। ভাব্যর বাবা কুলদীপ বিষ্ণোই এবং মা রেণুকা, উভয়েই হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক। ফলে হরিয়ানায় রাজনৈতিক ময়দানে পরিবারতন্ত্র লড়াই জমে উঠেছে। যা নিয়ে দিল্লির আগ্রহও কম নয়।