কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে শুধু মমতা নন, বিরোধী দলের একাধিক নেতার সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক আছে বলে এদিন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধু আছে। যাঁদের সঙ্গে বসে আমি খাবারও খেয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের নাম উল্লেখ করেন তিনি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তাঁদের দু’জনের বন্ধুত্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে চর্চা শুরু হয়েছিল, সেকথা জানান মোদি। তাঁর কথায়, ‘গুলাম নবি আজাদ এবং আমি বেশ কয়েকবার একসঙ্গে বসে চা খেয়েছি। আমার মতো রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর এক কর্মীর সঙ্গে আজাদের বন্ধুত্ব দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।’ তৃতীয় দফার ভোট শেষ হওয়ার পরদিনই মোদির এই সাক্ষাত্কার নিয়ে নানা মহলে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সাক্ষাত্কারকে বলা হচ্ছে ‘সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক’। এদিন প্রধানমন্ত্রী নয়, ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদি মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা অক্ষয়ের। তবে এই কথোপকথনকে যতই ‘অরাজনৈতিক’ আখ্যা দেওয়া হোক, কৌশলে রাজনৈতিক ইঙ্গিতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে চলেছেন তিনি। সারা বছরই হাজারো কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে তিনি কি আদৌ নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন বা দিনের মধ্যে কতক্ষণই বা ঘুমোন প্রধানমন্ত্রী? এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্নের অন্ত নেই। এদিন মোদির ঘুম নিয়ে প্রশ্ন করেন অক্ষয়ও। অভিনেতার প্রশ্ন, ‘আপনি দিনে ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমোন। কিন্তু সুস্থ শরীরের জন্য অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার, তাই না?’ এর জবাব দিতে গিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে টেনে এনেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে দেখা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কেন এরকম করেন? এরপর থেকে যতবারই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে, জানতে চেয়েছেন, আমি ঘুমের সময় বাড়িয়েছি কি না?’ এদিন নিজের ব্যক্তিগত জীবনের একাধিক স্মৃতিরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার তাঁকে নিয়ে সমালোচনা, তাঁর আমপ্রীতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের কথোপকথন নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, মোদি একজন ব্যর্থ রাজনীতিবিদ। ২৩ মে দেশের মানুষ তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেবে। তাই বলিউডে বিকল্প চাকরির খোঁজ করতেই তিনি এই সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘এই ব্যর্থ নেতা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছেন। দেশের কর্মসংস্থানের অবস্থাও খারাপ। গরিব ও কৃষকদের জীবনকে তিনি দুর্বিষহ করে তুলেছেন। এখন তিনি অক্ষয় কুমারজির থেকেও বড় অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এক্ষেত্রেও ব্যর্থ হবেন মোদি।’