বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে ঠেকাতে জোট করে লড়ছে সপা, বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বসপা) এবং আরএলডি। এদিন হরদোইয়ে এই তিন দলের যৌথ সমাবেশ থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর সপ্তমে চড়ান অখিলেশ। পরে কানপুরে প্রচারসভায় গিয়ে তিনি একহাত নেন কংগ্রেসকে। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল সপা। তাতে দু’দলই রাজনৈতিকভাবে কোনও ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস-সপা। তার পরেও লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে ফের সেই জোট-সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠাণ্ডাঘরে চলে গিয়েছে জোট-প্রক্রিয়া। আর তারজন্য এদিন কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অখিলেশ। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের ইগোর কারণেই জোট হয়নি উত্তরপ্রদেশে। আসলে ওরা মুখে যাই বলুক, বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রোখার সদিচ্ছা ওদের নেই। বরং সপা-বসপা-আরএলডি’র জোট বিজেপির সব স্বপ্ন বানচাল করে দেবে।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে শুধু জোট-ইস্যুতেই থেমে থাকেননি অখিলেশ। কংগ্রেসের কলকাঠিতেই বাবা মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হয়েছিল বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তিনি। অখিলেশের কথায়, বিরোধীদের ভয় দেখানোর রাজনীতিতে কংগ্রেস-বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। দুই দলই এভাবেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় বাবা মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হয়েছিল কংগ্রেসের মদতেই।
বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শনের এই রাজনীতিতে বিজেপিও বিশ্বাস করে বলে অভিযোগ অখিলেশের। একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ব্রিটিশদের মতো বিভাজন নীতি নিয়ে চলছে গেরুয়া শিবির। সমাজে জাতি-ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি করে যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় বিজেপি। তবে তাদের যাবতীয় চক্রান্ত ভেস্তে দিতে প্রস্তুত সপা-বসপা জোট। অখিলেশ বলেন, দেশের মানুষ বিভাজনের নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। তা ছাড়া দেশ চায় একজন ভালো প্রধানমন্ত্রী, ‘প্রচারমন্ত্রী’ নয়। কারণ, চাওয়ালা’র চায়ের স্বাদ এখন গোটা দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছেন। এরপর হরদোইয়ে জমায়েতের উদ্দেশে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, আপনারা কি এবারও চাইবেন সেই ‘চাওয়ালা’কে ভোট দিতে?