কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গতকালই নর্থ-ওয়েস্ট দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী হিসেবে গতবারের এমপি উদিত রাজের পরিবর্তে গায়ক হংসরাজ হংসের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতেই ক্ষুব্ধ হন এই দলিত নেতা। যদিও এদিন সকালে গেরুয়া শিবিরের প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব নিয়েই পরপর দুটো ট্যুইট করেন উদিত রাজ। একটিতে তিনি লেখেন, ‘প্রবীণ বিজেপি নেতা কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে। আমার টিকিট না পাওয়ার ঘটনায় তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’ দ্বিতীয় ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি যে নির্বাচনে লড়ার টিকিট পাব না, সেটা আমাকে আগে জানিয়ে দিলে আমার এত কষ্ট হতো না। দলকে এতটা পরিশ্রম কেন করতে হল? কেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিনে বেলা ১টার সময় দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হল? আমাকে যদি আগে জানিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে আমার কোনও সমস্যাই হতো না।’ এই দুটো ট্যুইটের পর স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব সম্ভবত কিছুটা কম করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন দলের ওই দলিত এমপি। কিন্তু এহেন ট্যুইটের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যেভাবে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসে যোগ দিলেন উদিত রাজ, তাতে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিন কংগ্রেসে যোগ দিয়ে উদিত রাজ বলেন, ‘এটা অন্তত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি কোনওদিনই দলিত এবং গরিব মানুষদের কথা ভাবে না। সম্পূর্ণভাবে দলিত বিরোধী একটি রাজনৈতিক দল।’ এদিন সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ওই এমপি অভিযোগ করেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিজেপি দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সেই রিপোর্টে তিনি সবথেকে জনপ্রিয় প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি, কারণ দলিতদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছিলেন।
এদিন দলিত নেতাকে দলে যোগদান করিয়ে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘বিজেপি শাসনে দলিত হওয়া এখন কার্যত অভিশাপের নামান্তর। দলিতদের সঙ্গে ঘটে চলা অন্যায়ের প্রতিবাদে বিজেপির যেসমস্ত এমপি সরব হয়েছেন, অথবা নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন, তাঁদের সকলকেই মোদি প্রতারিত করেছেন। তা তিনি সাবিত্রীভাই ফুলেই হোন, অথবা অশোককুমার দোহরে, কিংবা উদিত রাজ।’ এদিকে, দল ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিতেই উদিত রাজকে বিজেপির যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ থেকে ছেঁটে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লি বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া এবং আইটি সেলের কো-ইনচার্জ নীলকণ্ঠ বক্সি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে উদিত রাজের যাবতীয় মোবাইল নম্বর বিজেপির সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ থেকে রিমুভ করতে হবে। যাতে দলের কোনও তথ্য আর উদিত রাজের কাছে না পৌঁছয়।