পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উদিত রাজ বলেন, ‘বিজেপির দলিত সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু তারা একজন বোবা-কালা দলিত চায়। দলিত নেতা চায় না। আমি সেই দলিত নেতা হয়ে উঠেছিলাম। বিজেপি দলিতদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, তা আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি বিজেপিকে ছাড়িনি। বিজেপি আমায় ছেড়েছে।’ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করাই উদিত রাজের জন্য কাল হল? সেই কারণেই কি দলের এই এমপিকে টিকিট দিলেন না মোদি-অমিত শাহ? গতকাল রাত পর্যন্ত নর্থ-ওয়েস্ট দিল্লিতে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। আজ একেবারে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ওই কেন্দ্রে গায়ক হংসরাজ হংসকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। সরকারিভাবে বিজেপির এই তালিকা প্রকাশ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষুব্ধ এমপি উদিত রাজ জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেখানে আমার কথাই পার্টি শুনছে না, সেখানে দেশের আম দলিতেরা কীভাবে সুবিচার পাবেন।’ উদিত রাজের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের একটি অংশ আশঙ্কা করছে, উদিত রাজকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না দেওয়ার প্রভাব পড়তে পারে বিজেপির দলিত ভোটব্যাঙ্কে।
ক্ষুব্ধ ওই এমপি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস অথবা আম আদমি পার্টিতে (আপ) যোগদানের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এবার আর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে তাঁর লড়াই করার কোনও সুযোগ রইল না। আগামী ১২ মে দিল্লিতে ভোট। আজই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ফলে বিজেপির টিকিট না পেয়ে দলিত এই নেতা কী করবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। উদিত রাজ বলেন, ‘‘চার মাস আগে আমার সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে তখনই সতর্ক করে বলেছিলেন, আমাকে এবার বিজেপি টিকিট দেবে না। আজ সকালে ফের আমার সঙ্গে কেজরিওয়ালের কথা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও আমাকে একইভাবে সাবধান করেছিলেন। তা সত্ত্বেও আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। বদলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারিরা আমাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে বলেন।’ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কথা মতো ধৈর্য্য ধরেও শেষমেশ টিকিট পেলেন না উদিত রাজ।