কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে, তা আজই শেষ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন সিংভি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘নোটিস ইস্যু করা হচ্ছে। রাফাল ইস্যুতে রিভিউ পিটিশনের সঙ্গে এটিও শোনা হবে। আগামী মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল শুনানি হবে।’ নির্বাচন চলছে। তাই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় কংগ্রেস সভাপতি কিছুটা বেকায়দায় পড়লেন বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। যদিও পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিংভি জানান, ‘আদালতে আমাদের যা জানাতে বলেছে, সেই উত্তর সময়মতোই দেওয়া হবে। এতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এটুকু স্পষ্ট করে দিতে চাই, চৌকিদার চোর হ্যায় স্লোগান চলবেই।’
আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলার শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ‘চৌকিদার কে?’ কোনও পক্ষই অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলেননি। প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন শুনে এজলাসে বাদী বিবাদী দু’পক্ষই সামান্য অস্বস্তিতে পড়েন। আবেদনকারী মীনাক্ষি লেখির আইনজীবী তথা দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি সওয়াল করতে গিয়ে এজলাসে বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তাঁর মন্তব্যের জন্য কোনও ক্ষমা চাননি। দুঃখপ্রকাশ যা করেছেন তাও স্রেফ লিপ সার্ভিস। বলার জন্য বলেছেন।’ রোহতগি আরও বলেন, ‘রাহুল গান্ধী নিজের হলফনামায় স্বীকার করেছেন তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না পড়েই মন্তব্য করেছেন। আদালতের নির্দেশ না পড়ে এভাবে মন্তব্য করাটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হয়ে কী করে সুপ্রিম কোর্টের নাম করে আমেথি থেকে ওয়ানাড়ে এভাবে চৌকিদার চোর হ্যায় মন্তব্য করা যায়?’
পাল্টা সওয়াল করতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘চৌকিদার চোর হ্যায় রাজনৈতিক স্লোগান। গত দেড় বছর ধরে চলছে। কেবল কংগ্রেস সভাপতিই নন, অন্যরাও বলছে। তবে সুপ্রিম কোর্টও একইভাবে চৌকিদার চোর হ্যায় বলবে, এটা অবিশ্বাস্য। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে আনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে আনেননি। কিন্তু রাফাল মামলাতেই যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মতো মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্ট ক্লিনচিট দিয়েছে বলে মন্তব্য করছেন, তার কী হবে?’