কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
অখিলেশ ইভিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে এদিন বলেন, ‘দেশজুড়ে ভোটিং মেশিন ঠিক মতো কাজ করছে না অথবা যে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট চলে যাচ্ছে। আজ প্রায় ৩৫০-এর বেশি ইভিএম বদলাতে হয়েছে। জেলাশাসক বলছেন, ইভিএম চালানোর জন্য ভোটকর্মীরা প্রশিক্ষণ পাননি।’ তাঁর সংযোজন, ‘৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ মঙ্গলবার, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন সপা সুপ্রিমো। ইভিএমে সমস্যা কোনও অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ। মঙ্গলবার, সপার একটি প্রতিনিধি দল রামপুর কেন্দ্রে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নালিশ জানিয়েছে।
এদিন, অখিলেশ এবং শারদ পাওয়ারের মতো ইভিএম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তাঁর অভিযোগ, তৃতীয় দফার নির্বাচন চলার সময় গোয়ার বিভিন্ন বুথ থেকে ইভিএমে সমস্যার খবর এসেছে। এই নিয়ে বেশ কয়েকটি ট্যুইটও করেন তিনি। এর মধ্যে গোয়ার আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক এলভিস গোমসের একটি ট্যুইটের উল্লেখ করেন কেজরিওয়াল। ওই ট্যুইটে দাবি করা হয়, গোয়ার ৩৪ এসি-র ৩১ নম্বর বুথে মকপোলে ৬ জন প্রার্থী ৯টি করে ভোট দেন। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, বিজেপি পেয়েছে ১৭টি ভোট, কংগ্রেস ৯টি। বিষয়টিকে ‘ডাকাতি’ বলে উল্লেখ করে আপ। পাশাপাশি, কেজরিওয়ালের অভিযোগ, কেরলের একটি বুথের ইভিএমে হাত চিহ্নে বোতাম টিপলে পদ্ম চিহ্নে আলো জ্বলে উঠছে।
মঙ্গলবার বিরোধী দলের তরফে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে এনসিপি, টিডিপি, তৃণমূল, আপ, সিপিএম, সিপিআই, ডিএমকে একযোগে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, ইভিএমে সহজেই কারচুপি ও হ্যাক করা যায়। পাশাপাশি আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন ধৃতরাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে। ভোট দিলেই তা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে।’