কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মঙ্গলবার রাহুলের আমেথি এবং সোনিয়ার রায়বেরিলি কেন্দ্রে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানেও মোদির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়টি তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়। আসলে তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক করার পর থেকেই মোদির সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার টক্কর নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়। আর সেই জল্পনায় ইন্ধন জোগান প্রিয়াঙ্কা স্বয়ং। উল্লেখ্য, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই পড়ে বারাণসী কেন্দ্র। গতমাসে তখনও রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন কি না? প্রিয়াঙ্কা তুরন্ত পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘বারাণসী নয় কেন?’ এরপর থেকে মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করা নিয়ে কংগ্রেসের একটা অংশ ভাবতে শুরু করে। বারাণসী কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কার দাঁড়ানো নিয়ে কার্যত আড়াআড়ি বিভক্ত হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দলের একটা অংশ বলছে, প্রিয়াঙ্কা ভোটে দাঁড়ালে অবশ্যই সপা-বসপা জোটের সমর্থন চাইত। শালিনী যাদবকে দাঁড় করিয়ে সপা-বসপা জোট মোদি-প্রিয়াঙ্কার হাই প্রোফাইল লড়াইয়ের সম্ভাবনা নষ্ট করে দিল। কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে রাহুল, সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কার সিদ্ধান্তের উপর। সোমবার এই নিয়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্তই তিনি নিন, তাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। অনেক চিন্তার পরে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’
২০১৪ লোকসভা ভোটে কংগ্রেস বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী করে অজয় রাইকে। তিনি তৃতীয় হন। মোদির পরে এই কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন আম আদামি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদি পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৮০ হাজার ভোট। আর অরবিন্দ পান প্রায় দু’লক্ষ ভোট।