কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যশবন্ত সিনহা বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, যিনি মিত্র বলে সম্বোধন করেন, তিনিই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলেন। তাই মিত্র বলে আপনাদেরকে সম্বোধন করব না। নোটবন্দির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কালো টাকা উদ্ধার হল না।মানুষের কোনও লাভ হল না। কিন্তু নোট বদল করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হল। ধনীদের লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। যাদের কাছে কালো টাকা ছিল, তাদের কাছে তা থেকে গেল। ২৩ মে সরকার বদলের পর এর তদন্ত হবে। রাফাল কাণ্ড নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। এক সময়ের প্রবীণ ওই বিজেপি নেতা বলেন, সত্য একদিন সামনে আসবেই। তখন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখন সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে না। জনতা আসল সত্য ঘটনা জানবে কীভাবে। আমরাই আপনাদের সামনে এসে সব কিছু বলব।
বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ওই দলে বয়স্কদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। আদবানিজির মতো নেতাকে সম্মান দেওয়া হয়নি। মানুষ এর বিচার করবে। সম্মান না পাওয়ার জন্য আমাকে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। প্রসঙ্গত, আসানসোলেও প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেকারণে শিবসেনার প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন দলেরই এক নেতা। তিনিও বিজেপিকে তুলোধনা করে প্রচার শুরু করেছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, যশবন্ত সিনহার মতো এক সময়ের দাপুটে বিজেপি নেতাকে সামনে এনে তৃণমূল মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে। খনি অঞ্চলে তাঁর সভার পর গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি যে বাড়বে, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন বরকারের পর তিনি পাণ্ডবেশ্বরেও সভা করেন।