পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাল্যবিবাহ রুখতে বিয়ের প্রস্তুতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। অক্ষয় তৃতীয়ার আগে বাড়িতে দুধস্নান, পাত্রীর হাতে হেনা, স্কুলে হঠাৎ পড়ুয়ার অনুপস্থিতি, ব্যান্ড এবং গাড়ি বায়না দেওয়া এবং পুরোহিত বায়না দেওয়ার উপর নজর দিতে হবে। আধিকারিকদের বলা হয়েছে, বাল্যবিবাহের খবর পেলেই তহশিলদার এবং পুলিসকে খবর দিতে। তাঁরা গিয়ে বর-কনের বাবা-মাকে বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত করবেন। বাল্যবিবাহ রুখতে এখানেই থেমে নেই বুঁদি প্রশাসন। বিয়ের কার্ড ছাপানোর জায়গাগুলিকে বলা হয়েছে, বর-কনের জন্মের শংসাপত্র জোগাড় করে তাঁদের জন্মের তারিখ ছাপাতে হবে। এছাড়াও তাতে লেখা থাকতে হবে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: ‘বাল্যবিবাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের বয়স ২১ বছর এবং পাত্রীর বয়স ১৮ হতে হবে।’ শুধু তাই নয়, আলো এবং ডেকরেটার্সদেরও কিছু নিয়ম মানতে হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।
বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণের জন্য মহকুমা শাসক এবং তহশিলদারদের অক্ষয় তৃতীয়ার ১৫ দিন আগে থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খুলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ নথিভুক্তির জন্য রেজিস্টার রাখতে হবে। জেলাস্তরে বাল্যবিবাহ রোখা নিয়ে নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করবেন আইসিডিএসের ডেপুটি ডিরেক্টর। আর বাল্যবিবাহ হচ্ছে কি না, তা যাচাই করবেন সহকারী মহকুমা শাসক এবং সহকারী জেলাশাসক। এই আধিকারিকরাই নিজ নিজ এলাকায় বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনার তদন্ত করবেন। তাঁরাই আইন মেনে উপযুক্ত শাস্তির বিধান দেবেন। তাছাড়া বুঁদিতে জেলাশাসকের অফিসেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২২ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত এই কন্ট্রোল রুম কাজ করবে। তাছাড়া, পঞ্চায়েত স্তরে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে বাল্যবিবাহের কুপ্রভাব নিয়ে বিতর্কসভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। স্কুলের আশেপাশে বাল্যবিবাহ বিরোধী পথসভার আয়োজনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শিক্ষা আধিকারিককে।