বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সারদা সহ অন্যান্য চিটফান্ডের মামলায় তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিবিআইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সুপ্রিম কোটে ৮৯ পাতার হলফনামা আগেই জমা দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিস কমিশনার রাজীবকুমার। সিবিআই এবার তার পাল্টা বক্তব্য সামনে রেখে আদালতে সওয়াল করতে তৈরি। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই পরিকল্পনা কৌশলে ভেস্তে দিয়ে অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়ার জন্য দু’ সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজীবকুমার। যদিও আদালত এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। সেই নির্দেশ দেওয়ার মধ্যেই সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বলেন, ‘মোবাইলের কললিস্ট আড়াল করতে চাইছে রাজ্য পুলিস। সারদার মূল অভিযুক্তর মোবাইলের কললিস্ট রাজ্য আগেই হাতে পেয়ে গিয়েছে। দুটি বেসরকারি পরিষেবা সংস্থা রাজ্যকে তা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য তা সিবিআইয়ের হাতে দিতে চাইছে না।’
চিটফান্ড মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার আগে রাজীবকুমারের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গড়ে তদন্ত চালাচ্ছিল। আর সেই সময়ে তদন্তে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে রাজীবকুমার তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন না। সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিচ্ছেন না। ইত্যাদি অভিযোগ এনে রাজীবকুমারকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চায় সিবিআই। সেই মতোই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আজ সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ফের নতুন করে অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়ার আবেদন করা হল। উল্লেখ্য, আদালতে রাজীবকুমারের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো তদন্তে সহযোগিতার জন্য শিংলয়ে গিয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছি। সহযোগিতা করছি। তা সত্ত্বেও তাঁকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজেপির দুই নেতার মোবাইলে কথোপকথনের একটি অডিও ফুটেজ অস্ত্র করছেন রাজীবকুমার।