পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘আবেদনকারী (বিজেপি এমপি মীনাক্ষি লেখি) ব্যক্তিগত লাভ আর রাজনৈতিক মাইলেজ পাওয়ার লক্ষ্যেই এই মামলায় আদালতকে টেনে এনে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চেয়েছেন। তাই এই মামলা কেবল খারিজই নয়, আবেদনকারীকে আর্থিক জরিমানা করা হোক। আগামীকাল তৃতীয় দফার ভোটের দিনেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে মামলার শুনানি রয়েছে।
সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরেও ফাঁস হওয়া নথি মামলার শুনানির তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে নতুন করে রাফাল মামলা শুনবেন বলে সুপ্রিম কোর্ট জানাতেই আদালতের প্রসঙ্গ টেনে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন, ‘এতদিন আমি যেটা বলে আসছি, এখন সুপ্রিম কোর্টও তাই বলছে।’ আর এই মন্তব্য সামনে আসতেই কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন মীনাক্ষি লেখি। সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর জবাব চায়। খোদ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ গত ১৫ এপ্রিল মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধী যা বলছেন, সুপ্রিম কোর্ট তা বলেনি।
‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আজ ২৬ পাতার হলফনামায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রাহুল গান্ধী। বলেছেন, ‘আমেথিতে নিজের মনোনয়ন পেশ করতে গিয়েছিলাম। তখন সেখানে উপস্থিত মিডিয়া মন্তব্য চেয়েছিল। তাতেই নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলাম। হিন্দিতে। আর সেটাকেই ভুল অনুবাদ করে আদালতের সামনে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব পেতে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছেন আবেদনকারী বিজেপির এমপি।’
রাহুল তাঁর হলফনামায় বলেছেন, ‘আদালতে কোনও মামলায় নিজেদের সওয়ালের সপক্ষে রায় বা নির্দেশ হলে যেকোনও সাধারণ লোক যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেন, আমিও তাই দিয়েছিলাম। ইচ্ছাকৃত বা ভেবেচিন্তে বলিনি।’ রাহুল বলেছেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পাশাপাশি ১৩০ বছরের একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়ার সুবাদে আমার মন্তব্যের রাজনৈতিক এবং আইনি কী ব্যাখা হতে পারে, সর্বোচ্চ আদালত তা শুধরে দেওয়ায় কৃতজ্ঞ। আদালতের এই অবস্থান মাথা নত করে স্বীকার করছি।’ এখন দেখার আগামীকাল কী নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট!