পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আর ঠিক এই সুযোগটাই নিতে মাঠে নেমেছে কংগ্রেস। আবেগ উস্কে দিতে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রশান্ত প্যাটেলের এবারের প্রচারের অভিমুখ এক ও একমাত্র স্থানীয় উন্নয়ন। পানীয় জল থেকে কর্মসংস্থান। ব্যাঙ্কের লোন পাইয়ে দিয়ে জিআইডিসি কেন্দ্রে ছোটখাটো কারখানা স্থাপনের সুযোগ পাইয়ে দেবে বলে কংগ্রেস প্রচার করছে। কালাঘোড়া চক থেকে আজ সকালে ছিল রোড শো। সয়াজি রাও বাগ থেকে শুরু হওয়া সেই রোড শোতে প্রশান্ত প্যাটেলের ম্যাটাডোরে জায়গা করে নিতে বেশি বেগ পেতে হল না। কারণ কী? প্রথম পরিচয়েই হাসতে হাসতে বললেন, ‘আরে বাবা আপনি তো মহারানি গায়ত্রী দেবীর বাপের দিকের লোক!’ ভদোররায় এরকম গরমের হলকা মধ্যবৈশাখে সকাল সাড়ে ১১টায় কে ভেবেছিল? সমস্যা হল, সেই প্রবল উত্তাপের সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না ভদোদরার রাজনৈতিক শীতলতার। মঙ্গলবার ভোট। আজ রবিবার। গোটা শহর তো গমগম করবে প্রচারে! কোথায় কী? এই একটা রোড শো করে কংগ্রেস সাঙ্গ দেবে প্রচারপর্বে। আর বিজেপি প্রার্থী রঞ্জনবেন আজ গিয়েছেন শহরের লাগোয়া গ্রামগুলিতে। কিন্তু মানুষের ভিড় কোথায়? উৎসাহই নেই! কংগ্রেস প্রার্থী প্রশান্ত প্যাটেল বললেন, ‘মোদিজি ভদোদরার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। উনি যদি এখানে থাকবেনই না, তাহলে প্রার্থী হলেন কেন? কী পেলাম আমরা?’ ভদোদরার অবস্থা প্রায় রাজস্থানের কোটার মতো। অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হাজার হাজার বিজ্ঞাপন। কিন্তু কংগ্রেসের এবার স্লোগান, শিক্ষার বিপুল খরচ কমানো। কংগ্রেসের এই স্ট্র্যাটেজি এবার কিছুটা বিভ্রান্ত করেছে বিজেপিকে। কারণ লোকাল ইস্যু নয়। বিজেপি এবার তাবৎ জাতীয় ইস্যুতে ভোট চাইছে। স্টেশনের উলটোদিকে সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের পিছনের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী অফিসে বসে টাউন বিজেপি সম্পাদক রসিকলাল ফোন করলেন মুকেশ দীক্ষিতকে। বিজেপি মুখপাত্র। তিনি তখন মাঞ্ঝাল গ্রামে রঞ্জনাবেন ভাটের সঙ্গে প্রচারে। ফোনেই বললেন, ‘কংগ্রেস তো স্বীকারই করে নিল যে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলারই নেই। তা না হলে এটা কী পুরসভার নির্বাচন যে শহরের রাস্তা, জল, শিক্ষা এসব নিয়ে প্রচার করছে? ওদের বলুন মার্জিনটা চিন্তা করতে। ৫ লক্ষ ৭০ হাজার। পারবে কভার করতে? আরে দাদা মানছি, ভদোদরায় কংগ্রেস আগে অনেকবার জিতেছে। কিন্তু মোদিজি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত জিতেছে কংগ্রেস? বিধানসভা, পুরসভা, লোকসভা। সব আমাদের। ২৩ মে ফোন করবেন... আর আমাদের পার্টি অফিসে এসেছেন, ছাঁচ না খেয়ে যাবেন না যেন...।’ লাইন কেটে গেল।
ঝকঝকে শহর ভদোদরা। শহরজুড়ে মহারাজা সয়াজিরাও গায়কোয়াড়ের মূর্তিতে ছয়লাপ। ফতে সিং গায়কোয়াড় মিউজিয়মে ওই যে বিরাট বড় পেন্টিং এর নীচে বসে আছেন গাইড কাম সিকিউরিটি রাকেশ মালিক। অলস দুপুরে হাত তুলে জানালার বাইরে দেখালেন, ওই যে মোতিবাগ! ওটাই মহারাজের ক্রিকেট গ্রাউন্ড। অংশুমান গায়কোয়াড় এই মাঠে প্র্যাকটিস করে ভারতের টিমে ঢুকেছেন। আর ওই দেখুন ব্রোঞ্জের কালো মূর্তি। গায়ত্রী দেবীর মা। আপনাদের কোচবিহারের মহারানি ইন্দিরা দেবী। ভদোদরার জীবনযাপন রাজাদের গল্প ঘিরে। অটোচালক থেকে গাইড সকলের মুখে রাজপরিবারের কাহিনী। এর মধ্যেই পাঁচ বছর আগে উত্তেজনা এনেছিলেন মোদিজি... প্রার্থী হয়ে। এবার মোদিজি নেই, রাজাও নেই। লন্ডনে থাকেন। ভদোদরার মন খারাপ। সে আর ভিআইপি নয়!