বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগামী ২৩ এপ্রিল, তৃতীয় দফাতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে অসমের সবকটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। যে ক’টি কেন্দ্রের ভোট বাকি রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গুয়াহাটি। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মহিলা প্রার্থী রয়েছেন এই কেন্দ্রেই। মোট পাঁচ জন। বিজেপির কুইন ওঝা, কংগ্রেসের ববিতা শর্মা, পূর্বাচল জনতা পার্টি (সেক্যুলার)-এর মামণি শর্মা এবং দুই নির্দল প্রার্থী জুনমণি দেবী খাউন্দ ও রুবি নিয়োগ। এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ বিজয়া চক্রবর্তী অটলবিহারী বাজপেয়ি আমলের মন্ত্রী ছিলেন। গুয়াহাটিতে বিভিন্ন সময় মহিলা প্রার্থী দাঁড় করানোর জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপির কুইন ওঝা। দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে সংসদ এবং বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কুইন। তাঁদের দল সংসদে এবং বিধানসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল চালু করতে দায়বদ্ধ বলে দাবি কংগ্রেস প্রার্থী ববিতা শর্মারও। অসম বিধানসভায় কংগ্রেসের বেশি মহিলা বিধায়ক থাকার বিষয়টিকেই যুক্তি হিসেবে খাড়া করেছেন তিনি।
রাজ্যের শিলচর, জোরহাট এবং বরাপেটা কেন্দ্রে দু’জন করে মহিলা প্রার্থী রয়েছেন। ধুবড়ি, মঙ্গলদই এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত কোকরাঝাড় আসনে সেই সংখ্যা একজন করে। শিলচরে কংগ্রেসের সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এনপিপি-র নাজিয়া ইয়াসমিন হাজারিকা। জোরহাটে রয়েছেন তৃণমূলের রিবুল্যা গগৈ এবং নির্দল প্রার্থী নন্দিতা নাগ। বরাপেটার দু’জন মহিলা প্রার্থী হলেন, এসইউসিআইয়ের চিত্রলেখা দাস এবং ভোটার্স ইন্টারন্যাশনাল পার্টির সানিয়ারা প্রবীণ। কোকরাঝাড়ে আসনে বিপিএফ প্রার্থী করেছে রাজ্যের সমাজকল্যাণমন্ত্রী প্রমীলা রানি ব্রহ্মকে। এছাড়া মঙ্গলদইতে স্বর্ণলতা চালিহা (এসইউসিআই) এবং অনামিকা সরকার (নির্দল) ভোটের ময়দানে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে অসমে ১১ জন মহিলা প্রার্থী ছিলেন। ২০০৪ সালে সেই সংখ্যাটি ছিল ছ’জন। ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯ সালে ন’জন করে মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই রাজ্য থেকে। ১৯৮০, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একজন মহিলাকেও প্রার্থী করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। অথচ, ২০০৪ সাল থেকে অসমে নারী ভোটারের ভোটদানের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৬৫.০৩ শতাংশ মহিলা ভোটদান করেছিলেন। ২০০৯ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৬৬.৮১ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৯.৪২ শতাংশে। কিন্তু মহিলা সাংসদ বা প্রার্থীর সংখ্যা সেই হারে বাড়েনি।