কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিলটিতে সংশোধনী আনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেন, ‘এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। এর আগে ন’বার সংশোধনী আনা হয়েছে। ১৯৫০ থেকে অনবরত এই প্রক্রিয়া চলছে।’ তাঁর সংযোজন, উত্তর-পূর্বের মানুষদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ভাষাগত পরিচয়ের সাংবিধানিক রক্ষাকবচ নিশ্চিত করতে দায়বদ্ধ বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অসমবাসীর চাহিদা মেনে বিলটিতে সংশোধনী আনার জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবে কি না? উত্তরে ছাত্রনেতা থেকে মূলস্রোতের রাজনীতিতে আসা সোনেওয়াল কৌশলী অবস্থান নিয়ে বলেন, ‘যদি সর্বাত্মকভাবে ৬ নম্বর ধারাটির বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে অসমবাসী সবদিক থেকে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ থাকবেন। অনেক আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল পূর্বতন সরকারগুলির। কিন্তু, কেউই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।’
সোনেওয়াল আরও বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তাই আমার মনে হয়, একবার বিলটি বাস্তবায়িত হলে উদ্বেগের কোনও জায়গাই থাকবে না। তাই ৬ নম্বর ধারা বজায় থাকলে এখন যে রূপে বিলটি আছে, সেভাবে আনলেও আমাদের কোনও আপত্তি থাকবে না।’ গত ৮ জানুয়ারি নাগরিকত্ব বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় তা এখনও পেশই করা হয়নি। বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল গোড়া থেকেই বিলটির বিরোধিতা করেছে। নতুন এই নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের হিন্দু, জৈন, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা যদি ন্যূনতম ছ’বছর ভারতে বসবাস করেন, তাহলে প্রয়োজনীয় নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার পাবেন তাঁরা।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দেশজুড়ে বিজেপির নেতা-নেত্রীরা ফলাও করে নাগরিকত্ব বিলের প্রসঙ্গ তুলে ভোটের প্রচার করলেও রাজ্য নেতারা আশ্চর্যজনকভাবে বিষয়টি নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দাবি করেছিলেন, নাগরিকত্ব বিলের তুলনায় জাতীয় ইস্যুগুলি নিয়েই এখন বেশি ভাবছে অসমের মানুষ।