বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবারের নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে মহাজোট গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছিল কংগ্রেস। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সলমন খুরশিদ। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে ভেবে তারা (বিজেপি) জয়ের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমার ধারণা মানুষ বিজেপিকে তাড়াতে বুঝেশুনেই ভোট দেবেন।’ ফারুকাবাদ আসনে এবার ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। খুরশিদ ছাড়াও বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ মুকেশ রাজপুতের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বসপা প্রার্থী মনোজ আগরওয়াল।
নির্বাচন পরবর্তী মহাজোটে শেষ পর্যন্ত সপা-বসপা-আরএলডি অংশ নেবে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা। অখিলেশ-মায়াবতীরা তেমনটাই ভাবছেন বলে তাঁর ধারণা। খুরশিদ বলেন, ‘যদিও ওরা আজ এই নিয়ে কথা বলতে চান না। নির্বাচনে লড়ার আগে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমার মনে হয়, ২৩ মে-র পর তাদের বা অন্য কারওর সামনে একজোট হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।’ উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপির প্রচারে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনার সমালোচনাও করেছেন ইউপিএ সরকারের এই প্রাক্তন বিদেশিমন্ত্রী।
এদিকে, কংগ্রেস এবার বেশি সংখ্যক আসন পাবে বলে দাবি আনন্দ শর্মার। ভোটের ফল প্রকাশের পর পরিস্থিতি অনুযায়ী জোট হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। এর জন্য তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। দেশের ইতিহাসে প্রথমবার কোনও প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। বিজেপির বিরদ্ধে জওয়ানদের আত্মত্যাগকে অপমান করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।