পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন্দ্রাপাড়া লোকসভা কেন্দ্রটি যে সাতটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত, সেগুলি হল সালেপুর, মহঙ্গা, পাটকুড়া, কেন্দ্রাপাড়া, আউল, রাজনগর, এবং মহাকালপাড়া। বিজয় মহাপাত্র নিজেও এবার লড়াই করছেন পাটকুড়া কেন্দ্র থেকে। কিন্তু শনিবারই সেই কেন্দ্রের বিজেডি প্রার্থী বেদপ্রকাশ আগরওয়ালের মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ২৯ এপ্রিল ভোট করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রাপাড়া লোকসভার ভোট যথারীতি হবে। বিজেডির গড় কেন্দ্রাপাড়ায় পদ্মফুলের আধিপত্য বিস্তার করতে তৎপর বিজেপি। কিন্তু মানুষই বলছে, পার্টির মধ্যেই ঘুণ আছে। সেই ঘুণের প্রভাব কাটাতে জয়-বিজয় জুটি কতটা সক্ষম হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পার্টির কেউ কেউ নাম প্রকাশ না করে বললেন, এখানে দু’টো গোষ্ঠী। একটা জয়-বিজয়ের গোষ্ঠী এবং অপরটি ভুবনমোহন জেনার গোষ্ঠী। ভুবনমোহনের গোষ্ঠীর লোকেরা প্রশ্ন তুলছেন, বিজয়বাবু এখানে কী করেছেন! পার্টি বিজয়বাবুকে অকারণে তোল্লা দিচ্ছে। এখানে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়বে।
মহাকালপাড়া, পাটকুড়া, মহঙ্গা এলাকাগুলি মূলত বাঙালি প্রভাবিত। এইসব জায়গায় কম করে ৬০-৭০ হাজার বাঙালি ভোটার আছে। এই ভোট এবার ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করছে দুই দলই। তবে বিজেডির আশঙ্কা, এই বাঙালি ভোটের বেশিটাই বিজেপির অনুকূলে যেতে পারে। তাই ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং দু’বার এই কেন্দ্রে প্রচার করে গিয়েছেন। বারবার এখানে বাঙালি ভোটের দখল নিতে পাঠাচ্ছেন জয়দেব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা বাঙালি বিধায়ক অরবিন্দ ঢালিকে।
তাই এই ভোটে জয়-বিজয়ের প্রভাব কতটা গভীর, সেটাও একবার প্রমাণ হয়ে যাবে।