পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঠিক সেই ছবিটাই দেখা গেল কেন্দ্রাপাড়ায়। এখানে হোটেল গোল্ডেন প্যালেসের সামনের লনে সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে। লনে, লবিতে প্রচুর বিজেডি কর্মীর ভিড়। তাঁদের গলায় সবুজ রঙের পার্টির উত্তরীয়। এখানে এসে উঠেছেন কেন্দ্রাপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেডি প্রার্থী শশিভূষণ বেহরা। নবীনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত মানুষ এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। একটু আগে হোটেলের কনফারেন্স রুমে এলাকার নেতা এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর বসেছেন গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে। কর্মীরা বাইরে বসে। সভা-সমাবেশে কীভাবে আরও জোরদার করা যায়, মানুষকে কীভাবে বোঝানো যায়, গ্রামে গ্রামে যেতে হবে যাতে বিজেপি ভোট না পায়... সেসব কথা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিল, এসব নিয়েই মিটিং হয়েছে। আমি বসে আছি। মন্ত্রীর মিটিং শেষ হলেই ডাক পড়বে। সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া আছে। শশিভূষণবাবু একটু পরে হন হন করে বেরিয়ে এলেন। সামনে দাঁড়াতেই বললেন, ‘পাটকুড়ায় আমাদের প্রার্থী মারা গিয়েছেন। এখনই সেখানে যেতে হবে। অন্য সময় কথা বলব।’ যাওয়ার সময় দলের কর্মী ও নেতাদের বলে গেলেন, ‘আজ সব মিটিং মিছিল বাতিল।’ বলেই বেরিয়ে চলে গেলেন। তাঁকে অনুসরণ করল আরও কয়েকটা গাড়ি। আস্তে আস্তে হোটেল ফাঁকা।
কিন্তু আশ্চর্য এক সহাবস্থানও দেখা গেল। আগামী ২৩ এপ্রিল কেন্দ্রাপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন নির্বাচনী সভা করতে। তারই প্রস্ততির জন্য জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে এসেছেন দলের বিশিষ্ট নেতা ও কর্মীরা। তাঁরাও এই হোটেলে উঠেছেন। পাশাপাশি ঘরে বাস করছেন বিজেপি এবং বিজেডি নেতা। কেন্দ্রাপাড়া ছোট্ট শহর। হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল। হঠাৎ মোদির আগমন এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরটা ভিআইপি হয়ে গিয়েছে। হোটেলের সর্বত্র ঠাঁই নেই, ঠাঁই নেই অবস্থা। সব ঘরই সেই ২৯ এপ্রিল ভোট পর্যন্ত বুক করে রেখেছে দুই পার্টিই।