বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাফাল মামলার রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গত ১০ এপ্রিল জানিয়েছিল, ফাঁস হওয়া তথ্য এই মামলার নথি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রাফাল নিয়ে মোদি সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই ওই তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই রায়ের পরেই মোদিকে আক্রমণ করে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এতদিন আমি যা বলছিলাম, আজ সুপ্রিম কোর্টও সেকথা মানছে। চৌকিদার চোর হ্যায়।’ আর রাহুল এই মন্তব্য করতেই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিজেপি। মামলা করেছেন মীনাক্ষি লেখি। তারই প্রথম দিনের শুনানি ছিল আজ। মীনাক্ষি লেখির হয়ে আইনজীবী মুকুল রোহতগি গোড়ায় হিন্দিতে সওয়াল করতে শুরু করেন। থামিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইংরেজিতে বলুন।’ সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘এখানে তো বিবাদী (রাহুল গান্ধী) নেই। তাঁর বক্তব্যও শুনতে হবে। তবে এটুকু স্পষ্ট বলে দিতে চাই যে, রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের নাম করে যা বলছেন, আমরা তা বলিনি। ফাঁস হওয়া তথ্য গ্রহণ নিয়েই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল।’
লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে যে রাফাল ইস্যুতে রাহুল গান্ধী এতদিন মোদিকে কোণঠাসা করে চলেছেন, আজ সুপ্রিম কোর্ট নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিতেই তাঁকে পাল্টা চেপে ধরার অক্সিজেন পেয়ে গেল বিজেপি। সেই মতো অরুণ জেটলি থেকে দলের দিল্লির এমপি মীনাক্ষি লেখি রাহুলের সমালোচনায় সরব হলেন। তবে রাহুল গান্ধীও আদালতে নিজের বক্তব্য জানানোর পাশাপাশি পাল্টা প্রশ্নও তুলবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেস এমপি তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুসারে রাহুল গান্ধী অবশ্যই সময় মতো জবাব দেবেন।’ তবে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নেই জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যখন রাফাল মামলা খারিজ করেছিল, তখন কোথাও কি সর্বোচ্চ আদালত একথা বলেছিল যে মোদি সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হল? তাহলে? মোদি বা তাঁর মন্ত্রীরা ওই রায় পর থেকেই কেন বলতে আরম্ভ করেন যে সুপ্রিম কোর্ট ক্লিনচিট দিয়েছে?’
সুপ্রিম কোর্টের সোমবারের নির্দেশের পর নেহরু-গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগে অরুণ জেটলির মন্তব্য, ‘ভারতীয় সংবিধান কোনও পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টের রায় নতুন করে লেখার অধিকার দেয়নি। অথচ নিজেদের তৈরি করা রায় নিয়েই নির্বাচনে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন রাহুল। উনি যত নীচে নামবেন, আমাদের ততই উত্থান হবে।’ এরপরই কটাক্ষের সুরে জেটলি বলেন, ‘রাহুলের রাজনীতির ভাষায় বাক স্বাধীনতা মানে ভূরি ভূরি মিথ্যা বলার স্বাধীনতা!’ আর রাহুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাকারী বিজেপি এমপি মীনাক্ষি লেখি বলেন, ‘আশা করি সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের উপর নজর রাখছে।’ নাম না করে সোনিয়া এবং রাহুলকে টার্গেট করে তিনি আরও বলেন, ‘যে পরিবারের দু’জন জামিনে জেলের বাইরে আছেন, তাঁরা কোন মুখে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন!’ -ফাইল চিত্র