গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে কেবল প্রকাশ্য প্রচারই নয়, মায়াবতী বা যোগী কেউই কোনও মিছিল, রোড শো এমনকী মিডিয়ার সামনেও আসতে পারবেন না বলে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এর ফলে বিজেপি এবং বিএসপি কিছুটা বিপাকে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচার। তাই তার আগে এই ‘মুখ বন্ধ রাখা’র নির্দেশে দুই দলের প্রচারের পারদ কিছুটা হলেও অকেজো হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের উস্কানিমূলক এবং জাতি-ধর্মের নাম করে ভোট চাওয়ার বিষয়ে সমালোচনা করেছে। এ ব্যাপারে কমিশন হাত গুটিয়ে বসে থাকে বলে অভিযোগ। কেন কমিশন নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে না, কমিশনের ক্ষমতাই বা কতটা এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগামীকাল বিস্তারিত মামলা শুনবেন বলে জানান দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ এবং মায়াবতীর মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিল কমিশন। রাজনৈতিক মহলের মতে, আজ কমিশনের এই নির্দেশে গোটা দেশের রাজনৈতিক নেতারা এবার খানিক সামলে চলবেন।
গত ৯ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশে মিরাটের প্রচারসভায় আপত্তিকর কিছু কথা বলেছিলেন। সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। নিজেদের হিন্দু প্রমাণ দিতে বজরংবলী অর্থাৎ বীর হনুমানের কথাও বলেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নিরপেক্ষ নির্বাচনে এ ধরনের মন্তব্য আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন বলেই ব্যাখ্যা দিয়ে যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এবং এরপরই কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, ১৬ এপ্রিল সকাল ছ’টা থেকে ৭২ ঘণ্টা যোগী আদিত্যনাথ কোনও জনসভা, মিছিল, রোড শো, সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।
একইভাবে নির্বাচন কমিশন মায়াবতীর বিষয়ে জানিয়েছে, গত ৭ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের দেওবন্দের জনসভায় একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে ভোট না দেওয়ার জন্য মুসলমান সম্প্রদায়কে আবেদন করেন তিনি। যা প্রবল উস্কানিমূলক মন্তব্য করে কমিশন জানিয়েছে, মায়াবতী আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাই এ ধরনের মন্তব্যের জন্য বহুজন সমাজ পার্টির জাতীয় সভানেত্রীকে সতর্ক করার পাশাপাশি আগামীকাল সকাল ছ’টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা তাঁর কোনওরকম প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।
পাশাপাশি কমিশনের বক্তব্য, ভোট না দিলে মুসলিমরা যাতে তাঁর কাছে কাজ চাইতে না আসেন, নির্বাচনী প্রচারে মানেকার এই মন্তব্য আদর্শ নির্বাচনী বিধির পরিপন্থী। আর ‘খাকি আন্ডারওয়্যার’ নিয়ে মন্তব্য করে কমিশনের রোষে পড়েছেন আজম খান।