রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ কমিশনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আবেদনকারীরা যে অন্তত ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনার দাবি করেছে, তা কেন বাস্তবে সম্ভব নয়, তা লিখিতভাবে জানাবেন। পরের দিন আদালতকে সহায়তা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈনকে উপস্থিত থাকার কথাও জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, জানি এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কমিশন ব্যস্ত। তাই পরবর্তী শুনানিতে একেবারে গোড়াতেই মামলাটি রাখব। তাড়াতাড়ি আপনাকে ছেড়ে দেব। আগামী পয়লা এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
ভোটে এক একটি বিধানসভা এলাকায় এক শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপ গোনা হয়। কোন বিধানসভা কেন্দ্রের কোন বুথে তা গোনা হবে, তা নিশ্চিত থাকে না। কমিশন নিজের ইচ্ছে মতো তা নির্বাচন করবে। ভিভিপ্যাটের স্লিপে যে কোনও গোলমাল হয় না, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী এজেন্টদের তা আশ্বস্ত করতেই এই ব্যবস্থা। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, ইভিএমে কারচুপি হতে পারে। তাই লোকসভা নির্বাচনে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনা হোক। কংগ্রেস, তৃণমূল, টিডিপি সহ ২১ টি বিরোধী দলের নেতারা একজোট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। তারই দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল আজ। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। তাই তার আগে ভিভিপ্যাট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই মামলা রাজনৈতিক মহলের কাছে কৌতুহলের।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনে এ ব্যাপারে সম্মিলিতভাবে দরবারও করে তারা। দাবি করা হয়, ফের পুরনো ব্যবস্থা পেপার ব্যালট ফিরিয়ে আনা হোক। কিন্তু কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, পেপার ব্যালটে ভোট লুটের সম্ভাবনা থাকে। বুথ দখলের মতো অভিযোগ ওঠে। তাই লোকসভা নির্বাচন হবে ইভিএমে’ই।
একইসঙ্গে কমিশন জানিয়ে দেয়, রাজনৈতিক দলগুলির সন্দেহ দূর করতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সমস্ত ইভিএমের সঙ্গে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রেইল বা ভিভিপ্যাট থাকবে। যাতে ভোটররা যাঁকে ভোট দিলেন তার নাম দেখা যাবে। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনি বিরোধীরা। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়ান, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো ২১ জন নেতা একযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। ইভিএমের ভোটে আপত্তি না হলেও তাঁদের দাবি, গণনায় ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের স্লিপও গুনতে হবে।