গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত লোকসভায় লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট ছিল জেডিইউ’র। এবার নীতীশের সঙ্গী বিজেপি ও রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি। ২০১৪-র লোকসভার নিরিখে এই তিন দলের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৫১.৬ শতাংশ। অন্যদিকে আরজেডি, কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে সর্বমোট প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে। তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ। এই হিসেব অক্ষুন্ন থাকলে, বিহারে বিরোধীদের বেশ খানিকটা পিছনে ফেলে দেবে এনডিএ।
২০১৪-তে মোট ভোটের ২০ শতাংশ পেয়েছিল লালুর দল। আসন্ন নির্বাচনে সেই ভোটের কতটা তেজস্বী যাদবরা ধরে রাখতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ দলের মুখ লালু প্রসাদকে এবার প্রচারে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে তিনি জেল হাসপাতালে। এদিকে, সুযোগ বুঝে আসন রফা নিয়ে জোর দর কষাকষি শুরু করেছে কংগ্রেস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম), রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টি (আরএলএসপি)। কিন্তু এরফলে বিজেপি-জেডিইউ যাতে কোনও সুবিধা না পায়, সেবিষয়ে সতর্ক রয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বিহারে গত লোকসভার তুলনায় ২০১৫-র বিধানসভায় বিজেপির প্রাপ্ত ভোট কমেছে। ২০১৪-তে বিজেপি পেয়েছিল ২৯ শতাংশ ভোট। পরের বছর তা কমে হয় ২৪ শতাংশ। সেক্ষেত্রে বেশি আসন জিততে হলে অমিত শাহের দলের পাশাপাশি শরিকদেরও ভালো ফল করা জরুরি। তাই রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণকারী প্রকল্পকে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এনে একাধিক সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া অমিত শাহ সহ দলের প্রায় সব শীর্ষনেতৃত্বও একাধিক সভা করবেন রাজ্যে। সেই সঙ্গে দলিত ও সংখ্যালঘু ভোটও নিজেদের দখলে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অঙ্কের হিসেব যাই বলুক, বিজেপি-জেডিইউকে একেবারে ফাঁকা মাঠ দিতে রাজি নয় বিরোধীরা। তারাও দলিত ভোট ধরে রাখতে মরিয়া। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বুথস্তরের কর্মীরা। নোটবন্দি, জিএসটি, কালো টাকা, বেকারত্বের মতো ইস্যুগুলিকে প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী নেতৃত্ব রাজ্যে একাধিক সভা করবেন। সেই সঙ্গে ভোটারদের মন পেতে প্রচারে বেশ কিছু চমকও দিতে চাইছে তারা। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটের লড়াই জমজমাট হতে চলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।