রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শৈলেশ নীতিন ত্রিবেদি জানিয়েছেন, ‘ওই এলাকায় সক্রিয়তা এবং জয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেই লোকসভা নির্বাচনে বর্তমান বিধায়কদের প্রার্থী করার কৌশল নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল স্তর থেকে আসা প্রতিক্রিয়ায় তাঁদের জয়ী হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছে।’ সুরগুজা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন প্রেমনগরের বিধায়ক খেলসাই সিং। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯ সালে টানা তিনবার এই লোকসভা কেন্দ্রটি থেকে জিতে ছিলেন তিনি। চিত্রকূটের দু’বারের বিধায়ক, দীপক বেইজকে মাওবাদী উপদ্রুত বস্তার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করছে কংগ্রেস। রায়গড় আসনের জন্য তাদের বাজি ধর্মজয়গড়ের দু’বারের বিধায়ক লালজিত্ সিং রাঠিয়া। কাঁকের কেন্দ্রে নতুন মুখ হিসেবে সেখানকার জেলা পঞ্চায়েত সদস্য বীরেশ ঠাকুরকে প্রার্থী করার ব্যাপারেও আশাবাদী প্রদেশ নেতারা।
২০০০ সালে ছত্তিশগড় আলাদা রাজ্য হওয়ার পর থেকে এই কেন্দ্রগুলিতে একবারও জিততে পারেনি কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির রামন সিং সরকারের পতনের পর নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে প্রদেশ নেতাদের মনে। ছত্তিশগড়ের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ আদিবাসী। নির্বাচনী অঙ্কের দিক থেকে তাদের ভোট বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের বিধানসভা ভোটের ফল বলছে, তফসিলি উপজাতিদের ভোটের অধিকাংশই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। রাজ্যের ২৯টি তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত বিধানসভা আসনের ২৫টিতেই জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থীরা। বিজেপির দখলে গিয়েছে মাত্র ৩টি আসন। এবারে ওই চারটি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যদের সরিয়ে নতুন প্রার্থী দিতে পারে বিজেপি। তবে সেই কাজ খুব একটা সহজ নয় বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে আলাদা রাজ্য হওয়ার পর থেকেই ওই আসনগুলিতে বিজেপি জিতেছে। সেই ইতিহাসকে ও মোদিঝড়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সচ্চিদানন্দ উপাসনে। উল্লেখ্য, আগামী ১১, ১৮ ও ২৩ এপ্রিল তিন দফায় লোকসভা ভোট হবে ছত্তিশগড়ে।