বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। দলের নেতারা দলিত অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সভা করছেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’-অনুষ্ঠানে রাজ্যের এই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দলিতদের উন্নয়নে যে সমস্ত প্রকল্প চালু করেছে, তার সুবিধা নিতে সকলকে উত্সাহী করেন তিনি। এছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাওয়ার চন্দ গেহলট দলিত নেতাদের জন্মদিন উদযাপন করতে নিয়ম করে বিহারে চলে আসেন বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই জনসংযোগের নিরিখে বিরোধীদের থেকে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে বিজেপি।
পিছিয়ে নেই এনডিএ’র অন্যতম শরিক জেডিইউও। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল সরকারি একাধিক প্রকল্পের প্রচার শুরু করেছে। পাশাপাশি, অনেক আগেই ২২টির মধ্যে ২১টি দলিত সম্প্রদায়কে মহাদলিত ঘোষণা করেছিলেন নীতীশ। পরে রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি এনডিএ যোগ দেওয়ায় পাসোয়ান সম্প্রদায়কেও মহাদলিত ঘোষণা করেন তিনি।
এনডিএ জোট যাতে কোনওভাবেই দলিত ভোট নিজেদের পক্ষে নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তত্পর রয়েছে বিরোধীরা। আরজেডি, কংগ্রেস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেকুলার), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) সহ বিরোধী দলগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচার করছে। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার দলিতদের উন্নতিতে কোনও কাজ করছে না। ভোট পেতে তারা শুধু প্রতিশ্রুতির বুলি আওড়াচ্ছে। এই নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর কৌশল নিয়েছে বিরোধী দলগুলি।
বিরোধী দলের শরিকরা দলিত ভোট তাদের পক্ষে ধরে রাখতে সর্বশক্তি দিয়ে লোকসভার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা দলিত ভোটের প্রায় ৫ শতাংশ মুসাহার সম্প্রদায়ের ভোট পেতে তত্পর। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশে সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিএসপি’র নিজের ভোট ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
বিহারের ৪০টি মধ্যে ৬টি আসন তপশিলি জাতি ও উপজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। এই আসনগুলি হল গোপালগঞ্জ, সাশারাম, হাজিপুর, সমস্তিপুর, জামুই ও গয়া। ২০১৪-র নির্বাচনে ৬টির মধ্যে তিনটি করে আসন দখল করে ছিল বিজেপি ও তার শরিক লোক জনশক্তি পার্টি। দুটি দলই তিনটি করে আসন দখল করেছিল। তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটকে খালি হাতেই ফিরতে হবে বলে দাবি বিরোধীদের।
উল্লেখ্য,এই ৬টি আসন ছাড়াও আরা, জেহানাবাদ, বক্সার, উজ্জিয়াপুর, কারাকাট, নালন্দা এবং ঔরঙ্গাবাদ আসনগুলির প্রায় ৩ লক্ষ দলিত ভোটাররাই জয়-পরাজয় নিশ্চিত করে দেয়।