বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। অনেক টালবাহানার পর বহুদিনের পুরনো বন্ধু শিবসেনাকে সঙ্গে নিয়েই ভোটে যাচ্ছে গেরুয়া দল। এবার বিজেপি লড়ছে ২৫টি ও শিবসেনা ২৩টি আসনে। এদিকে নব নির্মাণ সেনার (এমএনএস) মোদি-বিরোধী অবস্থান থেকে লাভই দেখছে এনসিপি। এনসিপি সূত্রের খবর, এমএনএস সুপ্রিমো রাজ থ্যাকারের বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই কংগ্রেস-এনসিপির। এমএনএসের এই অবস্থানের জন্য শহুরে ভোট এনসিপি পকেটে পুরতে পারবে তারা মনে করছে। গত সপ্তাহে এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার রাজ থ্যাকারের সঙ্গে দেখা করেন। ওই বৈঠকে রাজের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন পাওয়ার। যদিও এমএনএসের ‘উগ্র’ রাজনীতি পছন্দ নয় জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। এবারের লোকসভা ভোটে প্রার্থী দেবে না বলে ঘোষণা করেছে এমএনএস। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এমএনএস একটি আসনও পায়নি। পরবর্তীতে বিধানসভা নির্বাচনে একটি মাত্র আসন পায় এমএনএস। ফলে এমএনএসের এবারের ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত সেটাও একটা কারণ হতে পারে। রাজের সঙ্গে পাওয়ারের বৈঠক প্রসঙ্গে এক এনসিপি নেতা বলেন, এই বৈঠক থেকে তাঁদের দল লাভ ছাড়া ক্ষতি দেখছে না। মূলত শহরে এমএনএসের একটা বড় প্রভাব রয়েছে। তবে এমএনএসকে জোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার গতবারের জয়ী চার সাংসদকে বিজেপি টিকিট দেয়নি। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জায়ান্ট কিলার শোলাপুরের সাংসদ শারদ বানসোডে। ২০১৪ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীলকুমার সিন্ধেকে তাঁর গড়ে হারিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বানসোডে। তাঁর জায়গায় লড়াই করবেন জয়সিদ্ধেশ্বর স্বামী। দ্বিতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ এমপিকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি, তিনি হলেন হরিশ্চন্দ্র চৌহান। ২০০৯ সাল থেকে দিন্দোরি আসনে জিতে আসছিলেন এই নেতা। গতবারও এই আসনে এনসিপি প্রার্থী ভারতী পাওয়ারকে বিপুল ভোটে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার ভারতী দলবদলে এসেছেন পদ্মশিবিরে। আর বিজেপি হরিশ্চন্দ্রের জায়গায় আস্থা রেখেছে ভারতীর উপরেই। এবার এনসিপির গড় বারামতীতে সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আগেই জানিয়েছিলেন, বারামতী দখলে এবার অলআউট ঝাঁপাবে দল। সেজন্য দেউন্দের বিধায়ক রাহুল কলের স্ত্রী কাঞ্চনকে এবার টিকিট দিয়েছে বিজেপি। পুনে আসনেও বর্তমান সাংসদ অনিল শিরোলের জায়গায় রাজ্যের মন্ত্রী গিরীশ বাপতকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। পুনরায় টিকিট পাননি জলগাঁওয়ের এমপি এ টি নানা। তাঁর জায়গায় বিজেপি দাঁড় করাচ্ছে স্মিতাউদয় ওয়াগকে। এদিকে বড় চমক হল এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’তে সম্পাদকীয় কলমে লেখা হয়েছে, শারদ পাওয়ার এবং মায়বতীর মতো নেতা-নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার কারণেই তাঁরা নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে এনসিপি সুপ্রিমো হাওয়া বুঝতে পেরে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে কটাক্ষ করেছেন মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এদিকে কংগ্রেসেও প্রার্থী নিয়ে প্রাকাশ্যে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঔরঙ্গাবাদের বিধায়ক আব্দুল সাত্তারকে টিকিট না দিয়ে অন্যজনকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। এনিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাত্তার।