গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন খবরটি শেয়ার করার পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, ‘আখচাষীদের পরিবার দিনরাত পরিশ্রম করেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকার ওঁদের প্রাপ্য টাকার দায়িত্ব নেয় না। কৃষকদের দশ হাজার টাকা বকেয়া থাকার মানে ওঁদের বাচ্চাদের শিক্ষা, খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং আগামী ফসল সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে যাওয়া। এই চৌকিদাররা শুধু ধনীদের হয়ে কাজ করে, গরিবদের কথা ভাবে না।’ পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা প্রিয়াঙ্কার এই ট্যুইট ছড়িয়ে পড়তেই তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এতদিন পর আখচাষীদের অবস্থা নিয়ে ‘ঘুম’ ভাঙায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যখন কৃষকরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের এই তথাকথিত শুভকাঙ্ক্ষীরা কোথায় ছিলেন, কংগ্রেসের উদ্দেশে এই প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘যখন আমাদের সরকার গঠিত হয়, তখন আখচাষীদের বকেয়া টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। যা অনেক রাজ্যের বাজেটের চেয়েও বেশি। কিন্তু আমরা তা মিটিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, বিগত দুই সরকার আখচাষীদের জন্য কিছু না করায়, তাঁদের অনাহারে মরতে হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন আদিত্যনাথ। তাঁর মতে, বিজেপির আমলে রাজ্যের আখ চাষের জমির পরিমাণ ২২ শতাংশ বেড়ে ২৮ লক্ষ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনি কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। তাঁর সরকারের আমলে কৃষকরা সুখেই দিন কাটাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।