গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। ৮০টি। সেইমতো ৫৪৩ আসন বিশিষ্ট লোকসভা তথা দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে গেলে প্রয়োজন ২৭২টি আসনে জয়। অর্থাৎ, কোনও দল বা জোটের উত্তরপ্রদেশ থেকে বেশি আসন পাওয়ার অর্থ হল, ক্ষমতার কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আসলে নির্বাচনে দেশকে প্রধানমন্ত্রী উপহার দিক বা না দিক, উত্তরপ্রদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের পারফরমেন্সের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তামাম দেশবাসী।
গতবারের মতো এবারও বারাণসী থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পারিবারিক ধারা মেনে রায়বেরিলি ও আমেথি থেকে লড়ছেন যথাক্রমে সোনিয়া ও রাহুল। স্বাভাবিকভাবেই এই তিন ভিআইপি কেন্দ্রের উপর নজর থাকছে গোটা বিশ্বের। ২০১৪ সালে প্রচারে বারাণসী এসে মোদি বলেছিলেন, ‘আমি এখানে আসিনি। মা গঙ্গা আমায় ডেকেছেন।’ আর সেই আবেগের জেরে তাঁকে নির্বাচিত করেছিল বারাণসীর আম জনতা। পাঁচ বছর পর সম্প্রতি নিজের কেন্দ্রে গিয়ে ভগবান বিশ্বনাথের শরণাপন্ন হন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বারাণসী শহর উন্নয়নে ভগবানের স্বপ্নপূরণ করতেই আমাকে এখানে ডাকা হয়েছিল।’
গতবার রাহুলকে হারাতে না পারলেও এবার আমেথি কেন্দ্রেই ঘাঁটি গেড়ে পড়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। বিজেপি কর্মীদের ধারণা, রাহুল গান্ধীকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ২০০৪ সাল থেকে আমেথিতে ভোটে লড়ছেন রাহুল। অন্যদিকে, এবারও রায়বেরিলি থেকে দাঁড়াচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে, শুধু মোদি, সোনিয়া বা রাহুলের কেন্দ্র নয়, এই উত্তরপ্রদেশ থেকেই ভোটে লড়ছেন অখিলেশ পত্নী ডিম্পল যাদব। তাঁর কেন্দ্র কনৌজ। বদায়ুন থেকে দাঁড়িয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ধর্মেন্দ্র যাদব। ডিম্পল ও ধর্মেন্দ্র নিজেদের কেন্দ্র থেকে লড়লেও এবার বাবা মুলায়মের কেন্দ্র আজমগড় থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশ।
অন্যদিকে, আগের মতোই বিজেপির গড় লখনউ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজনাথ সিং। মথুরা থেকে দাঁড়াচ্ছেন সেখানকার এমপি তথা বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী। গাজিয়াবাদ থেকে প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ভি কে সিং। রাজ্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন সুলতানপুর সম্ভবত ছাড়তে হচ্ছে বরুণ গান্ধীকে। দলীয় সূত্রে খবর, মা তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকার কেন্দ্র পিলিভিট থেকে ভোটে দাঁড়বেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস প্রধান রাজ বব্বরকে মুরাদাবাদ কেন্দ্র থেকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে ফতেপুর সিক্রিতে।
শুধু হেভিওয়েট প্রার্থী নয়, এবারের ভোটে বিজেপিকে হারাতে সপা-বসপা জোটের কাছে অগ্নিপরীক্ষা। উল্টোদিকে ২০১৪ সালে ৭৩ আসন জয়ী বিজেপির কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া গত বছরের লোকসভা উপনির্বাচনে গোরক্ষপুর ও ফুলপুর হারানো মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যেরও সম্মানের লড়াই এই লোকসভা ভোট। আবার ভোটারদের নিজেদের পালে টানতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরাকে ময়দানে নামিয়েছে কংগ্রেস।