পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শিবসেনা মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ভারতীয় রাজনীতির ‘ভীষ্মাচার্য’ বলে পরিচিত লালকৃষ্ণ আদবানি। কিন্তু লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম জায়গা পায়নি। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই ঘটনা বলে দিচ্ছে, বিজেপিতে আদবানি যুগের অবসান হল। গুজরাতের গান্ধীনগর আসন থেকে লোকসভায় ছ’বার নির্বাচিত হয়েছেন আদবানি। এখন সেই আসন থেকে লড়বেন অমিত শাহ। এর সহজ অর্থ, আদবানিকে অবসর নিতে ‘বাধ্য’ করা হয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই আদবানির মতো প্রবীণ নেতাদের কার্যত রাজনৈতিক বানপ্রস্থে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, ‘মার্গদর্শক মণ্ডল’-এর সদস্য করে তাঁদের একপ্রকার গুরুত্বহীনই করে দেওয়া হয়েছিল। এবার গান্ধীনগর আসন থেকে আদবানির জায়গায় অমিত শাহকে প্রার্থী করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া তুঙ্গে। এদিন শিবসেনার মুখপত্রে লেখা হয়েছে, আদবানি হলেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির সঙ্গে তিনি দলের রথ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু আজ তাঁদের জায়গা নিয়ে নিয়েছেন মোদি ও অমিত শাহ। এবার যাতে প্রবীণরা কোনও দায়িত্ব না পান, দলে সেই পরিবেশ ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। রাজনীতিতে ‘দীর্ঘ ইনিংস’ খেলেছেন আদবানি। তিনিই বিজেপির ‘সর্বোচ্চ নেতা’ থাকবেন।
বিজেপির পাশাপাশি এদিন আদবানি ইস্যুতে কংগ্রেসকেও বিঁধতে ছাড়েনি শিবসেনা। কংগ্রেসের তরফে মন্তব্য করা হয়েছিল, আদবানির কাছ থেকে গান্ধীনগর আসন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে শিবসেনার তোপ, প্রবীণদের অসম্মান করা নিয়ে কংগ্রেসের কোনও কথা বলা উচিত নয়। কঠিন সময়ে কংগ্রেসের সরকার পরিচালনা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও। কিন্তু এমনকী মৃত্যুর পরও তাঁকে অসম্মান করেছে কংগ্রেস। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপস্থিতিতেই অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন রাহুল গান্ধী। সীতারাম কেশরীর (প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি) সঙ্গে কী হয়েছিল? তাই প্রবীণদের সম্মান জানানো নিয়ে কংগ্রেসের মুখে কোনও কথা শোভা পায় না। সম্পাদকীয়তে এরপর ফের বিজেপির সমালোচনায় ফিরে আসে উদ্ধব থ্যাকারের দল। সেখানে বলা হয়, প্রতিটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকেই অস্তমিত হতে হয়। নয়ের দশকে অযোধ্যায় আদবানির রথযাত্রার কারণেই বিজেপি শীর্ষে উঠতে পেরেছে। আদবানির পরিশ্রমের সুফল পাচ্ছে বিজেপি।