পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে খবর, ৭৫ বছরের বেশি বয়সের কোনও নেতাকে এবার টিকিট দেওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই শুধু আদবানি নয়, এই তালিকায় আরও বেশ কিছু নাম জুড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল ও পাউরির সাংসদ ভগত সিং কোশিয়ারি ও বিসি খান্ডুরি। ৭৬ ও ৮৫ বছর বয়সি এই দুই নেতাকে টিকিট দিচ্ছে না দল। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশের কাংড়ার সাংসদ শান্তা কুমার ইতিমধ্যেই প্রার্থী হতে চান না বলে দলকে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর বয়স ৮৪।
বিজেপির অন্দরের খবর, দলের প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর যোশিকেও এবার প্রার্থী করা হচ্ছে না। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কানপুর আসন থেকে জিতে আসছেন। আদবানি, যোশির পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের টিকিট পাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। চলতি বছরে ৭৬-এ পা দেবেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর আসন থেকে ১৯৮৯ সাল থেকে সাংসদ হচ্ছেন লোকসভার বর্তমান স্পিকার। সেই বছর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রকাশ চন্দ্র শেঠিকে হারিয়ে এই কেন্দ্রে জয় পান সুমিত্রা মহাজন। তারপর বিগত ৩০ বছরে এই কেন্দ্রে তাঁর কোনও বিকল্পের কথা ভাবেনি বিজেপি।
এবার পরিস্থিতি বদলেছে। সুমিত্রা মহাজনের টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু বয়স নয়, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ বিজেপি নেতা সত্যনারায়ণ খোলাখুলি বর্তমান সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সুমিত্রা মহাজন ইন্দোরের জন্য কিছুই করেননি। তিনি দিল্লিতে সংসদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই প্রয়োজন হলে এলাকার মানুষ তাঁর দেখা পান না। এই নিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভ রয়েছে। ’ এই অবস্থায় সুমিত্রাদেবীকে প্রার্থী করা হলে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৭৯ বছর বয়সি এই বিজেপি নেতা।
এদিকে, বয়সের ‘কোটা’ শুরু হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের খুন্তি আসন থেকে বর্ষীয়ান নেতা কারিয়া মুণ্ডাকে সম্ভবত প্রার্থী করা হচ্ছে না। ৮৪ বছর বয়সি এই নেতার বদলে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডাকে টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে, হিমাচলের সাংসদ শান্তা কুমারের মতো বিহারের হুকুম দেব নারায়ণ যাদবও ভোটে না দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ছেলে অশোক যাদব মধুবনি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বয়সের কোপে না পড়লেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার দুই সদস্যা সুষমা স্বরাজ ও উমা ভারতী। শারীরিক কারণেই তাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি।