বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব থেকে যতটা বেশি সম্ভব সাংসদ লোকসভায় পাঠাতে মরিয়া বিজেপি। এখানকার সাতটি রাজ্যে রয়েছে ২৫টি আসন। উত্তর-পূর্ব থেকে নিজের পুরনো দল কংগ্রেসকে একপ্রকার মুছে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁকে এনইডিএ-এর আহ্বায়ক করেই লড়াইয়ে নামে গেরুয়া ব্রিগেড। এই মোর্চা ছিল মূলত কংগ্রেস বিরোধী মঞ্চ। কিন্তু এটি কোনও ভোটের জোট ছিল না। বিজেপি চেয়েছিল এই রাজনৈতিক মোর্চাকে ভোটের জোটে পরিণত করতে। কিন্তু পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই মঞ্চ রীতিমতো বেসামাল। অসমের দু’টি ও নাগাল্যান্ডের একটি ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলকেই কাছে টানতে পারেনি বিজেপি। উত্তর-পূর্বের বাকি রাজ্যগুলিতে একলাই চলতে হচ্ছে গেরুয়া ব্রিগেডকে। এমনকী ত্রিপুরার মতো রাজ্যে জোট শরিকরাও আলাদা লড়াই করছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা গত দু’তিন মাস ধরে এই মঞ্চ নিয়ে সক্রিয় ছিলেন না। উত্তর-পূর্বের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছিলেন রাম মাধব। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। তাই আবার হিমন্তকেই দায়িত্ব দিয়ে ওই রাজ্যগুলিতে ভালো ফল করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে বিজেপি। অসমের বিজেপি প্রধান রঞ্জিৎ দাস বলেছেন, আমরা হিমন্তকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলাম। তিনি রাজিও ছিলেন। কিন্তু যখন তাঁর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে যযায়, তাঁরা বলেন, উনি এনইডিএ-এর আহ্বায়ক হিসেবে ২৫টি আসনেই তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত বুধবারই বলেন, অসম রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। কিন্তু দল তাঁকে পুরো উত্তর-পূর্বের দায়িত্ব নিতে বলেছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মাও জানান, দল উত্তর-পূর্ব থেকে বেশি সংখ্যক আসনে জিততে চাইছে। এখানকার ২৫টি আসনের মধ্যে আশা করি ২০টি আসন আমরা পাব। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি।