বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এর আগে ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালে রাজ বব্বর আগ্রা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু, ২০০৮ সালের পর ওই আসনটি তফশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যায়। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফতেপুর সিক্রি থেকে লড়ে বিএসপি প্রার্থী সীমা উপাধ্যায়ের কাছে প্রায় ১০ হাজার ভোটে হেরে যান কংগ্রেসের এই রাজ্যসভার সাংসদ। তবে, ওই বছরই উপনির্বাচনে ফিরোজাবাদ কেন্দ্র থেকে পুনরায় জিতে লোকসভায় যান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোরাদাবাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে স্বয়ং রাজেরই আপত্তি ছিল। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিং মনে করিয়ে দেন, আগেও ফেতেপুর সিক্রি থেকে ভোটে লড়েছেন রাজ বব্বর। তাঁর কথায়, ‘উনি ওই লোকসভা কেন্দ্রটি ভালোই চেনেন। তাছাড়া লোকসভা কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাসের পর ফতেপুর সিক্রি আলাদা কেন্দ্র হয়েছে। তার আগে সেটি আগ্রা লোকসভার অংশ ছিল, যেখানে তিনি অতীতেও জয় পেয়েছেন।’
এছাড়াও এদিন প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় আরও বেশ কয়েকটি চমকে দেওয়ার মতো নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। যেমন, বিজনৌর কেন্দ্রে ইন্দিরা ভাট্টিকে সরিয়ে তারা প্রার্থী করেছে নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকিকে। নাসিমুদ্দিন আগে বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকী, তাঁকে দলের মুসলিম মুখ হিসেবে তুলে ধরেও প্রচার করতেন বিএসপি নেতা-কর্মীরা। ২০১৮ সালে তিনি দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দেন।
কংগ্রেসের এই দফার তালিকায় আরও একটি উল্লেখযোগ্য নাম হল প্রবীণ অ্যারন। তাঁকে বেরিলি থেকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রবীণ এই কেন্দ্র থেকেই জয় পেয়েছিলেন। অন্যদিকে, কুখ্যাত ডাকাত শিবকুমার প্যাটেল ওরফে দাদুয়ার ছোট ভাই বালাকুমার প্যাটেলকে এবার বান্দা থেকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। মির্জাপুর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির এই প্রাক্তন সাংসদ সম্প্রতি দলবদল করে কংগ্রেসে এসেছেন। এর পাশাপাশি, হাথরাস কেন্দ্রে ত্রিলোকিরাম দিবাকর, আগ্রা কেন্দ্রে প্রীতা হরিত, হরদোই কেন্দ্রে বীরেন্দ্রকুমার ভার্মা এবং কৌসাম্বি কেন্দ্রে গিরিশচন্দ্র পাসিকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস।