গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন ভোপালে ‘হোলি মিলন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। সেই অনুষ্ঠান থেকেই ভোপাল কেন্দ্রে দিগ্বিজয় সিংকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেন কমল নাথ। ঘটনাচক্রে নিজের খাসতালুক রাজগড় থেকে এবার ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন দিগ্বিজয় সিং। কিন্তু তাতে সায় ছিল না মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের সঙ্গে চলছিল ইগোর লড়াই। ক’দিন আগেই দিগ্বিজয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কমল নাথ। বলেছিলেন, লড়তে চাইলে রাজ্যের ‘কঠিনতম’ আসন থেকে দাঁড়ান। রাজগড়ের দাবি ছেড়ে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন ৭১ বছরের দিগ্বিজয়।
‘হোলি মিলন’ অনুষ্ঠান থেকে এদিন কমল নাথ বলেন, দলের প্রার্থীদের নামের তালিকা আমার পকেটে রয়েছে। কিন্তু তা আমি প্রকাশ করব না। তবে একটি ঘোষণা আমি করতে পারি। গতকাল কংগ্রেস নির্বাচনী কমিটি ভোপাল থেকে দিগ্বিজয়জিকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিগ্বিজয় সিং বহুদিন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাই তাঁর কাছে আমি একটি অনুরোধ করেছিলাম। রাজগড়ের পরিবর্তে ভোপাল, ইন্দোর, জব্বলপুরের মতো কোনও কঠিন আসন থেকে লড়ার জন্য। যে আসনগুলিতে কংগ্রেস বিগত ৩০-৩৫ বছর ধরে জিততে পারেনি, সেরকম কোনও আসন থেকে দিগ্বিজয়কে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন কমল নাথ।
ভোপাল আসনে শেষবার ১৯৮৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মা। তারপর থেকে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের কাছে অধরাই থেকে গিয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে ২৭টি জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। ভোপাল আসনে গতবার ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অলোক সঞ্জর। কিন্তু সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখল করেছে কংগ্রেস। ফলে এবার এই রাজ্যে ফল ভালো করার বিষয়ে আশার আলো দেখছে কংগ্রেস। সেই সূত্রেই এবার খাসতালুক রাজগড় থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন দিগ্বিজয়। বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাজগড় থেকে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালে। কিন্তু কমল নাথ জানিয়ে দিয়েছিলেন, লড়তে চাইলে রাজগড় নয়, বাছতে হবে কঠিন আসন। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নেন দিগ্বিজয়। এদিন কমল নাথ বলেন, দিগ্বিজয়জি জানিয়েছিলেন, কোথা থেকে লড়তে হবে তা আপনি ঠিক করুন। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমি বলেছি, ভোপাল থেকে লড়ুন।