নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ (পিটিআই): সন্ত্রাসদমন আইনে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে (জেকেএলএফ) নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। শুক্রবার সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন এই সংগঠনের বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি একাধিক বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দেওয়া, ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা করার মতো বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। এমনকী, জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে প্রচার করার অভিযোগও উঠেছে জেকেএলএফের বিরুদ্ধে। বর্তমানে জম্মুর কোট বালওয়াল জেলে বন্দি রয়েছেন এই সংগঠনের প্রধান ইয়াসিন মালিক। প্রায় তিন দশক আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের মেয়ে রুবায়া সইদকে অপহরণ ও বায়ুসেনার চার আধিকারিককে গুলি করার ঘটনায় জড়িত ছিল ইয়াসিন মালিক। শীঘ্রই এই মামলায় তার শুনানি শুরু হবে বলে খবর। জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবা জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকার কতটা কঠোর, তা এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট। এর আগে, চলতি মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরের জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।
এদিকে, বিদেশি মুদ্রা আইনে (ফেমা) তদন্তে নেমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সৈয়দ আলি শাহ গিলানিকে ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জানা গিয়েছে, গিলানির বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা রাখার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে আয়কর দপ্তরের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি। তার কাছ থেকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার (ভারতীয় টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৬ লক্ষ ৮০ হাজারের কাছাকাছি) বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সূত্রের খবর, ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে।