বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার আগেও বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন গৌতম। অবসর নেওয়ার পরে দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। তাই এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের রাজনীতিতে আসা সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছিল। এদিন দিল্লিতে পার্টির সদর দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি ও রবিশঙ্কর প্রসাদের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। পরে দেখা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গেও। গম্ভীরের যোগদানকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন অরুণ জেটলি। তবে তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন তিনি। জেটলির মতে, এব্যাপারে পার্টি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সূত্র বলছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নয়াদিল্লি থেকে গৌতম গম্ভীরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গতবার ওই আসনটি থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি। গম্ভীরের বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা দিল্লিতেই। খেলেছেন দিল্লির হয়েই। শহরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেননি জেটলি। পার্টি তাঁর প্রতিভাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এদিন গৌতম গম্ভীর জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজ ও দূরদর্শিতার উপর আস্থা রেখেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পার্টির একজন সদস্য হিসেবেই আগামীদিনে দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাই।’ উল্লেখ্য, ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় দলে গৌতম গম্ভীরের অবদান কম নয়। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ফাইনালে তাঁর করা ৯৭ রানের ইনিংসটিই দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিল। ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যোগদানও নতুন নয়। চেতন চৌহান, কীর্তি আজাদ, নভজ্যোত সিং সিধু, মহম্মদ আজহারউদ্দিন, মহম্মদ কাইফের পর এই তালিকায় ঢুকে পড়লেন গম্ভীরও। নতুন ভূমিকায় কতটা সফল হবেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান, তা অবশ্য সময়ই বলবে।