বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ১,৮০০ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কাকে কবে টাকা দেওয়া হয়েছে, তা একটি ডায়েরিতে লেখা রয়েছে। যার পাতায় পাতায় ইয়েদুরাপ্পার সই। ডায়েরি এবং টাকার অঙ্কের প্রসঙ্গে ইয়েদুরাপ্পা এবং কেন্দ্রের প্রয়াত মন্ত্রী অনন্তকুমারের একটি অডিও টেপ তাদের হাতে আছে জানিয়ে মোদির ওপর চাপ বাড়াতে সুরজেওয়ালা বলেন, এবার সেই তথাকথিত ডায়েরি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তাই আমাদের প্রশ্ন, মোদিজি বলুন, ওই ডায়েরি সত্যি না মিথ্যে।
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ছদ্ম চৌকিদার’ আখ্যা দিয়ে সুরজেওয়ালা বলেন, কর্ণাটকের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিষয় হলেও মোদি, রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, নীতিন গাদকারির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতার নাম ১৮০০ কোটি টাকা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এ কাহিনী মোদিবাবা এবং চল্লিশ চোরের গল্প। কটাক্ষ করেন সুরজেওয়ালা। কেবল বিজেপি নেতাদেরই নয়, দেশের বিচারপতিদেরও প্রায় ২৫০ কোটি টাকা দেওয়ার মতো অভিযোগের কথাও ওই ডায়েরিতে উল্লেখ আছে বলেই দাবি করেন সুরজেওয়ালা। সিবিডিটি এবং আয়কর দপ্তরের কাছে এই ঘুষের রিপোর্ট থাকার পরেও কেন তারা কোনও তদন্ত করেনি? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে মোদির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা থেকে শুরু করে সংসদ থেকে সড়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চৌকিদার চোর হ্যায় বলে স্লোগান তুলেছে কংগ্রেস। বিরোধী রাজনৈতিক দলও ওই স্লোগানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে। আর সেই চাপে পড়েই লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতেই চমকপ্রদভাবে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটারে নিজের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দটি জুড়েছেন। পথ অনুসরণ করেছেন বিজেপির অন্য মন্ত্রীরাও।
আর মোদির এই আচরণে নিজেদের জয় দেখছে কংগ্রেস। তাই তারাও বলতে শুরু করেছে, চৌকিদারই চোর। সেই স্লোগানে আজ বাড়তি উৎসাহ মিলেছে ইয়েদুরাপ্পার তথাকথিত ডায়েরি। এক প্রশ্নের উত্তরে সুরজেওয়ালা বলেন, এখন লোকপাল গঠন হয়ে গিয়েছে। তাই এই দুর্নীতি লোকপালের তদন্তের উপযুক্ত। প্রয়োজনে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বিজেপিকে চাপে ফেলতে সুরজেওয়ালা বলেন, আমাদের প্রশ্ন, খোদ মোদিজির নামে ঘুষের অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি বলুন সত্যি না মিথ্যে। মুখ খুলুন অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিং। সাহস থাকলে বলুন, তথাকথিত ওই ডায়েরির তথ্য সত্যি কি না।