পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভোট ঘোষণা হতেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। এরপর কয়েক দফায় বাম ও কংগ্রেসও তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল। অপেক্ষা ছিল বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে। অবশেষে তা ঘোষিত হল ঠিকই কিন্তু তা মাত্র ২৮টি আসনের। কার্যত চমকহীন বিজেপির বাংলার ২৮টি আসনের প্রার্থী তালিকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আসানসোল আসনেই রাখা হয়েছে। মেদিনীপুর থেকে লড়বেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাহুল সিনহা উত্তর কলকাতা, শমীক ভট্টাচার্য দমদম, চন্দ্রকুমার বসু কলকাতা দক্ষিণ, লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি আসনে লড়বেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া তিন বিধায়ক-সাংসদ অর্জুন সিং, অনুপম হাজরা ও সৌমিত্র খাঁকেও প্রার্থী করা হয়েছে। তাঁরা যথাক্রমে বারাকপুর, যাদবপুর ও বিষ্ণুপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ঘাটালে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষকে।
দেরিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ায় বিজেপি একদিকে যেমন প্রচারে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেল তেমনই প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শুরু হয়েছে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। হুগলি জেলা থেকে টিকিট না পেয়ে ‘অভিমানে’ দল ছেড়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক। কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থী করেছে একসময়ের ‘ফায়ারব্র্যান্ড’ যুব তৃণমূল নেতা নিশীথ প্রামাণিককে। তাঁকে পছন্দ করেননি জেলা বিজেপির অধিকাংশ কর্মী। রাতেই তাঁরা কোচবিহারে বিজেপির দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান। ‘দিনহাটার স্মাগলারকে একটিও ভোট নয়’, এমন ব্যানারও দেখা যায়। মালদহ উত্তরে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএম ছেড়ে যাওয়া খগেন মুর্মু। তাঁকে নিয়েও জেলা বিজেপিতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে খবর।
বাংলার ২৮টি আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা:
কোচবিহার: নিশীথ প্রামাণিক
কৃষ্ণনগর: কল্যাণ চৌবে
কলকাতা দক্ষিণ: চন্দ্র বসু
কলকাতা উত্তর: রাহুল সিনহা
যাদবপুর: অনুপম হাজরা
আলিপুরদুয়ার: জন বার্লা
জলপাইগুড়ি: জয়ন্ত রায়
রায়গঞ্জ: দেবশ্রী চৌধুরী
মালদা উত্তর: খগেন মুর্মু
মালদা দক্ষিণ: শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
দমদম: শমীক ভট্টাচার্য
বসিরহাট: সায়ন্তন বসু
বালুরঘাট: সুকান্ত মজুমদার
বারাসত: মৃণালকান্তি দেবনাথ
হুগলি: লকেট চট্টোপাধ্যায়
মেদিনীপুর: দিলীপ ঘোষ
আসানসোল: বাবুল সুপ্রিয়
ঘাটাল: ভারতী ঘোষ
বীরভূম: দুধকুমার মণ্ডল
আরামবাগ: তপন রায়
জয়নগর: অশোক কাণ্ডারী
শ্রীরামপুর: দেবজিৎ সরকার
বারাকপুর: অর্জুন সিং
মথুরাপুর: শ্যামাপ্রসাদ হালদার
বিষ্ণুপুর: সৌমিত্র খাঁ
তমলুক: সিদ্ধার্থ নস্কর
ঝাড়গ্রাম: কুন্নুর হেমব্রম
বর্ধমান পূর্ব: পরেশ দাস