বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, নোটবন্দি করে বড় বিপর্যয় ঘটিয়ে দিয়েছে এই সরকার। গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারি এখন সব থেকে বেশি। কৃষকরা কিছু পাচ্ছেন না, তাই তাঁরা আত্মহত্যা করছেন। নির্বাচনের সময় শুধু টাকা দিলে আর তিলক কাটলে মানুষের উপকার হয় না। এইভাবে নির্বাচন হয় না। বিজেপি যা করছে, তা ভুল করছে। এয়ার ইন্ডিয়া আমাদের গর্বের জায়গা। কিন্তু সেটাও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা দেশের গদ্দার নই, আমরা দেশের বফাদার। যিনি দেশের আসল চৌকিদার, তাঁকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ভোটের মুখে নীরব মোদিকে গ্রেপ্তার করে ক্রেডিট নিতে চাইছে মোদি সরকার। কিন্তু মানুষ অত বোকা নয়। সবই বুঝতে পারছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তিনি বলেন, নীরব মোদিকে যেতে দিয়েছিল কে? সে প্রশ্নের জবাব বিজেপি সরকারকে দিতে হবে। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের জন্য এই গ্রেপ্তারি। বিজেপি এই গ্রেপ্তারিকে কাজে লাগাতে চাইছে ভোটের প্রয়োজনে। কংগ্রেসের মতো সব বিরোধী দলই নীরব মোদির গ্রেপ্তারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধী নেতাদের মত, ভোটের আগে গ্রেপ্তারি কেন? এতদিন কেন করা যায়নি? কংগ্রেস নেতা রেণুকা চৌধুরী বলেন, এত চৌকিদার থাকা সত্ত্বেও নীরব মোদি, মেহুল চোকসি পালাতে পারলেন কী করে? ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা বলেন, এটা বিজেপি সরকারের কৃতিত্ব নয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম প্রথম নীরব মোদির অবস্থান তুলে ধরে। সেখান থেকে তাঁর খোজ পাওয়া যায়।
বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাব দিয়েছে দেশের শাসকদল বিজেপি। দলের নেতা প্রকাশ জাভরেকর পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, যাঁরা দেশের টাকা লুট করে পালিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চাইছি। এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি বিশাল অভিযান। কিন্তু বিরোধীরা, বিশেষ করে কংগ্রেস চাইছে না, গরিব মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক। তাই তারা নানা মন্তব্য করছে।