বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অসি ঘাটে প্রথমেই মৎস্যজীবী সম্প্রদায় নিশাদদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই নিশাদরা পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের ভোট পূর্ব উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি আসনের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে। এমনিতে প্রিয়াঙ্কার নজরে রয়েছে এখানকার ছ’টি কেন্দ্র। তাই নিশাদদের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার এই আলোচনা রাজনীতির দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয়াঙ্কা বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নিশাদদের সমস্যা সমাধান করতে আলাদা মন্ত্রক গড়া হবে। শুধু নিশাদ সম্প্রদায়ই নয়, জৈন সম্প্রদায়ের সঙ্গেও এখানে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন তিনি।
অসি ঘাট থকে প্রিয়াঙ্কা আসেন বিখ্যাত দশাশ্বমেধ ঘাটে। এখানে প্রথমেই গঙ্গা আরতি করেন তিনি। সাদামাটা শাড়িতে ভক্তিভরে আরতি করার পর কথা বলেন পুরোহিতের সঙ্গে। ঘাট থেকে ৩টে নাগাদ প্রিয়াঙ্কা চলে যান কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। কপালে তিলক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। সেখানে পুজো দেন তিনি। প্রায় ৪টে নাগাদ মন্দির থেকে বেরন প্রিয়াঙ্কা। তখন তাঁকে দেখার জন্য ভিড় উপচে পড়ছে। প্রিয়াঙ্কা হাত নেড়ে সকলকে অভিবাদন জানান। কর্মী-সমর্থকরা তখন প্রিয়ঙ্কার এক ঝলক মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে রাখতে তৎপর।
মন্দির থেকে সড়কপথে তিন কিলোমিটার রোড শো করে প্রিয়াঙ্কা চলে আসেন সরোজা প্যালেসে। প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী সমর্থক তখন সেখানে উপস্থিত। এখানে হোলি খেলার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পুলওয়ামার শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেই কর্মসূচি বাতিল করেন তিনি। এখান থেকে পুলওয়ামা হামলায় শহিদ জওয়ানদের বাড়িতে যান প্রিয়াঙ্কার। সবশেষে তিনদিনের সফর শেষ করে বারাণসী থেকে দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। এরপর সম্ভবত উত্তরাখণ্ডে প্রচারে বেরবেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার প্রচারে কি উত্তরপ্রদেশে ঝড় তুলতে পারবে কংগ্রেস? এখন এ প্রশ্নই ঘুরছে চারিদিকে। কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তেওয়ারি বলছেন, পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে, ১৯৮০ সাল ফিরে এসেছে। আসলে এই উত্তরপ্রদেশেই এভাবে ১৯৮০ সালে ঝড় তুলে ফের ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কার ঠাকুমা, ইন্দিরা গান্ধী। ঠাকুমার সঙ্গে চেহারায় প্রচুর মিল রয়েছে প্রিয়াঙ্কার। মিল রয়েছে কথায়ও। এখন শুধু দেখার, ভোট যন্ত্রে সেই মিল প্রতিফলিত হয় কি না।