বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কংগ্রেস সোমবারই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গড়তে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেয়। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি) এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি (জিএফপি)-র নেতৃত্ব শরিকদলের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে চাপ বাড়াতে থাকে বিজেপির উপর। শরিকদল বেঁকে বসায় বেকায়দায় পড়ে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে সোমবারই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় নেতা তথা গোয়ায় দলের পর্যবেক্ষক নীতিন গাদকারি। নেপথ্যে থেকে তিনি ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ গোটা বিষয়টি সামাল দেন।
সরকার গঠনে অনিশ্চয়তা কাটাতে প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেন নীতিন। শরিকদের মানভঞ্জনে অনেকটাই সফল হন তিনি। এরপর দলের সমস্ত বিধায়ক ও এমজিপি’র বিধায়ক সুদিন দাভেলকারের সঙ্গে হোটেলে একদফা বৈঠক করেন শাহ। সেই আলোচনাতেই সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে।
দলীয় সূত্রে খবর, দু’টি শরিকদলের একজন করে বিধায়ককে উপমুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই শর্তেই তারা প্রমোদ সাওয়ান্তকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে রাজি হয়। জিএফপি’র প্রধান বিজয় সরদেশাই এবং এমজিপি’র বিধায়ক সুদিন দাভেলকার উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে চলছেন ।
এদিকে, দায়িত্ব নিয়ে বুধবারই বিধানসভায় সাওয়ান্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এতদিন তিনি রাজ্যের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন। আপাতত, ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবো বিধানসভার দায়িত্ব সামলাবেন। মঙ্গলবার শপথ নেওয়ার পরই পারিক্করের স্মৃতিচারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের হাত ধরেই তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ। পূর্বসূরির অসমাপ্ত কাজ শেষ করা তাঁর মূল লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। পানাজির মীরামার বিচে পারিক্কারের নামে একটি স্মৃতি সৌধ গড়তে চলেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৪০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির আছে ১২ জন বিধায়ক। কিন্তু দুই শরিক ও নির্দল বিধায়কের সমর্থনে গোয়ায় সরকার গড়েছে বিজেপি।