বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইয়েচুরিকে জানিয়ে দেন, প্রদেশ কংগ্রেস কোনওভাবেই রাজি হচ্ছে না। প্রদেশের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে আপনারা যেভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রদেশ নেতৃত্ব অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাই আসন সমঝোতা সম্ভব হচ্ছে না। ইয়েচুরির সঙ্গে ওই কথোপকথনের পরেই রাতে কংগ্রেস ১১ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয়। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে সিপিএম তথা বামেরা প্রার্থী না দিলেও রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসনেও নিজেদের প্রার্থী দিয়ে কংগ্রেস স্পষ্ট বার্তা দেয়, সিপিএমের সঙ্গে তাঁরা হাত মেলাচ্ছে না।
আর কি জোটের কোনও সম্ভাবনা আছে? জানতে চাওয়ায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র আজ বলেন, না। আর কোনও সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জোট মানে তো আত্মসমর্পণ করা নয়। যেখানে বাংলায় সিপিএমের হাল খারাপ, সেখানে ওদের কথায় কি কংগ্রেসের মতো জাতীয় দল কি মাথা নুইয়ে দেবে নাকি? সোমেনবাবু বলেন, কংগ্রেস কোথায় কাকে প্রার্থী করবে তা কি সিপিএমের কথায় ঠিক করতে হবে নাকি! প্রার্থী ঠিক করার দায়িত্ব আমাদেরই। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপিকে শিক্ষা দিতে আমরা সিপিএমের সঙ্গে মুক্তমনে জোট চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরাই তা হতে দিল না।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গতকাল রাহুলের সঙ্গে সীতারামের কথা এবং কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে প্রার্থী না দিয়ে সিপিএম এখনও পশ্চিমবঙ্গে জোটের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস আর কিছুতেই নরম হতে চায়না বলেই এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে। গতকাল যেভাবে কংগ্রেস ১১ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে, একইভাবে পরবর্তী তালিকা তৈরি করতে আগামী সপ্তাহে ফের পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাংলো ১০ জনপথে ওই কমিটির বৈঠক হচ্ছে।
এদিকে, মোদি বিরোধী জোট বাঁধায় বিরোধীদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই, এই বার্তা দিতে আজ উদ্যোগ নেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। বাংলার বিষয়টির পাশাপাশি দিল্লির প্রসঙ্গেও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একইভাবে কথা বলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার এমপি সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গেও। দলীয় সূত্রে খবর, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে রাহুলকে পাওয়ার বুঝিয়েছেন, দিল্লির সাতটি আসনে আপের সঙ্গে জোট করে নেওয়াই ভালো। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত রাজি নয় জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আপ যেভাবে মাত্র দুটি আসন ছাড়ার কথা বলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না বলেই পাওয়ারকে পাল্টা জানিয়েছেন রাহুল। তবে দলীয় সূত্রে খবর, সম্মানজনক রফা হলে আপের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই রাহুলের।